• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২২, ১১:৩২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৭, ২০২২, ১১:৩২ পিএম

টাইগারদের উড়িয়ে সিরিজ জিতল সাহসী জিম্বাবুয়ে

টাইগারদের উড়িয়ে সিরিজ জিতল সাহসী জিম্বাবুয়ে

ভাগ্য সাহসীদের পক্ষে যায় এবং জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক রেগিস চাকাভা সাহসী। মাথার ওপর ২৯১ রানের বড় লক্ষ্য। ওদিকে ৪৯ রানে নেই ৪ উইকেট। অধিনায়ক হিসেবে তিনি ‘সম্মানজনক হারের’ পথে হাঁটতে পারতেন। কিন্তু চাকাভা বেছে নিলেন ভয়ের পথটি। সঙ্গী হিসেবে পেলেন আত্মবিশ্বাসী সিকান্দার রাজাকে। দু’জন দুর্দান্ত ব্যাটিং করে, রেকর্ড জুটি গড়ে ৫ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছেন। এক ম্যাচ হাতে রেখে নয় বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতলেন।

গত বছর জিম্বাবুয়ে সফরে ওয়ানডে সিরিজ পানির মতো জিতেছিল বাংলাদেশ। ওই আত্মতুষ্টির সঙ্গে টানা পাঁচ ওয়ানডে সিরিজ জয়ের অতি আত্মবিশ্বাস ডুবিয়েছে বাংলাদেশকে। প্রথম ম্যাচে তিনশ’ ছাড়ানো রান করেও হারের মুখ দেখা বাংলাদেশ সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে রক্ষনাত্মক ব্যাটিং করেছে। ওপেনিং জুটিতে ৭১ রান করে বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেট হারায় ১৪৮ রানে। চাপ ছিল। কিন্তু অতি চাপ নিয়ে খোলসে ঢুকে যায় সফরকারীরা। ব্যাটিং স্বর্গেও আটকে যায় তিনশ’র আগে।

বাংলাদেশ দলের হয়ে ওপেনার ও অধিনায়ক তামিম ৪৫ বলে ৫০ রানের ভালো ইনিংস খেলেন। তিনি ১০টি চার ও এক ছক্কায় ওই রান করেন। তার ওপেনিং সঙ্গী আউট হন ছয় রানের ব্যবধানে ব্যক্তিগত ২০ রানে। এরপর মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল শান্ত সেট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। চারে নামা মুশি ৩১ বলে যোগ করেন ২৫ রান। তবে তিনে নামা নাজমুল শান্ত সুবিধা করতে পারছিলেন না। তিনি ৫৫ বলে পাঁচটি চারে ৩৮ রান করে আউট হন। 

শান্তর সঙ্গে কচ্ছপ গতির ব্যাটিং শুরু করেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ। তবে ক্রিজে এসে আফিফ হোসেন সাবলীল শুরু করেন। তাদের জুটিতে ভালো রানের আশা ছিল। আফিফ ৪১ বলে চারটি চারে ৪১ রান করে ফিরে গেলে ওই আশা ফিকে হয়ে যায়। মাহমুদউল্লাহ ইনিংস শেষ করে ফেরেন। শুরুতে হজম করা বলের সমান রান তুলে শেষ টানেন। তার ব্যাট থেকে দল তিনটি চার ও তিন ছক্কায় ৮৪ বলে ৮০ রান পায়।

জবাব দিতে নেমে প্রত্যাশিত শুরু পায়নি জিম্বাবুয়ে। নিজের প্রথম দুই ওভারেই উইকেট তুলে নেন ওয়ানডে একাদশে ফেরা হাসান মাহমুদ। স্পিনার মেহেদি মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম প্রতিপক্ষ শিবিরে ধাক্কা দেন। কাঁপতে থাকা দলকে ভরসা দিতে ধীরে খেলছিলেন প্রথম ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা ১৩৫ রানের ইনিংস খেলা সিকান্দার রাজা। ক্রিজে এসে রেগিস চাকাভা এক প্রান্ত দিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন। 

বাংলাদেশ দলের এলোমেলো বোলিং, রান আউট মিসের সুযোগ নিয়ে ক্রিজে দাঁড়িয়ে যান দু’জন। দুই প্রান্ত থেকে রান তোলা শুরু করেন। দু’জন জিম্বাবুয়ের ওয়ানডে ক্রিকেটের তৃতীয় সর্বোচ্চ ২০১ রানের জুটি গড়েন। ওই জুটিতে চাকাভার অবদান ৭৫ বলে ১০ চার ও দুই ছক্কায় ১০২ রান। তিনি ফিরে গেলে বাকি পথটা রাজা এবং টনি মুনুঙ্গা পাড়ি দেন। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে রাজা ১২৭ বলে আট চার ও চারটি ছক্কায় ১১৭ রান করেন। মুনঙ্গা ১৬ বলে দুই চার ও দুই ছক্কায় ৩০ রান করে ১৫ বল থাকতে দলকে জয়ের উৎসবে মাতান। 

এর আগে ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে বাংলাদেশ তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারে। এমনকি ২০১১ সালেও পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হারের স্বাদ পায় টাইগাররা। ওই সিরিজে প্রথম তিন ম্যাচেই জয় দেখেছিল স্বাগতিকরা। এবারের সিরিজের দ্বিতীয় এই ম্যাচে মিরাজ ও হাসান মাহমুদ অপেক্ষাকৃত ভালো বোলিং করেছেন। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন তারা। পেসার শরিফুল ৯ ওভারে ৭৭ রান দিয়েছেন। তাসকিন ৯ ওভারে ৬২ রান দেন। দু’জনই ছিলেন উইকেট শূন্য। অন্য দিকে জিম্বাবুয়ের রাজা ১০ ওভারে ৫৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন। অন্য স্পিনার মাধেভেরে নেন ২ উইকেট।

 

এসকেএইচ//