• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৩, ১১:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৩, ২০২৩, ১১:৩৫ পিএম

দাপুটে জয়ে সিরিজ নিশ্চিত টাইগারদের

দাপুটে জয়ে সিরিজ নিশ্চিত টাইগারদের
ছবি ● সংগৃহীত

আইরিশদের উড়িয়ে প্রথমবার ১০ উইকেটের জয় পেল বাংলাদেশ দল। এই জয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছে স্বাগতিকদের।

আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরেছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ড টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছে। প্রথম দুই ম্যাচে রানের রেকর্ড গড়া বাংলাদেশ আগে বোলিং করতে নেমে ১০১ রানেই অলআউট করে আইরিশ ব্যাটারদের।

বোলিংয়ে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। উইকেট না পেলেও রান দেননি বোলাররা। প্রথম তিন ওভারে ৪ রান তুলেছিল আয়ারল্যান্ড। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে প্রথম বাউন্ডারির দেখা পায় তারা। তাসকিনকে কভার ড্রাইভে চার মেরে রানের খাতা খোলেন পল স্টার্লিং।

নিজের তৃতীয় ওভারে বল হাতে নিয়ে স্টিফেন ডোহানির কাছে চার হজম করেন হাসান মাহমুদ। পরের বলে দেন ডট। তৃতীয় বলে তাকে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান ডানহাতি পেসার। পঞ্চম ওভারে ১২ রানে প্রথম উইকেট পেয়ে যায় বাংলাদেশ। ৮ রান করে মাঠ ছাড়েন ডোহানি।

ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে দ্বিতীয় উইকেট পেতে পারতো বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ড ওপেনার পল স্টার্লিংয়ের ক্যাচ নিতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। পয়েন্ট থেকে ডাইভ দিয়েছিলেন, বল তার আঙুল ছুঁয়ে মাটিতে পড়ে।

নিজের পঞ্চম ওভারে দ্বিতীয় উইকেট পান হাসান মাহমুদ। স্টিফেন ডোহানির পর আরেক ওপেনার পল স্টার্লিংকে তিনি ফেলেন এলবিডব্লিউর ফাঁদে। ৭ রানে মাঠ ছাড়েন এই আইরিশ ব্যাটার। তিন বল পর নতুন ব্যাটার হ্যারি টেক্টরকেও একইভাবে প্যাভিলিয়নে পাঠান তিনি। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নিয়ে সফল হয় বাংলাদেশ। চার বলে কোনও রান যোগ না করে দুটি উইকেট হারায় আইরিশরা, ২২ রানেই ৩ উইকেট পড়ে তাদের। 

পরের বলে লিটন দাস ক্যাচ ধরতে পারেননি। লোরকান টাকার বেঁচে যান, নিজের চতুর্থ উইকেটবঞ্চিত হন হাসান। 

পরের ওভারে বল হাতে নিয়ে তাসকিন আহমেদ ফেরান অ্যান্ডি বালবির্নিকে। নাজমুল হোসেন শান্ত স্লিপে ক্যাচ ধরেন। ১৮ বলে ১ চারে ৬ রান করে প্যাভিলিয়নে আইরিশ অধিনায়ক। ২৬ রানে সফরকারীদের চতুর্থ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে দুর্দান্ত খেলে বাংলাদেশ, ২৭ রান দিয়ে প্রথম ১০ ওভারে পেয়েছে ৪ উইকেট।

২৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে উড়ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বাধ সাধেন কার্টিস ক্যাম্ফার ও লোরকান টাকার। তাদের ৪২ রানের জুটি ভেঙে দিলেন এবাদত হোসেন। ৩১ বলে চারটি চারে ২৮ রান করে এলবিডব্লিউ হন টাকার। পরের বলে জর্জ ডকরেলকে বোল্ড করেন। 

দ্বিতীয় স্পেলে তাসকিন আহমেদ জোড়া আঘাত করেন। ২২তম ওভারে বল হাতে নিয়ে প্রথম বলে অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনকে ফেরান। মিডউইকেটে নাসুম আহমেদের সহজ ক্যাচ হন তিনি। তিন নম্বর বলে মার্ক অ্যাডায়ারকে বোল্ড করেন এই ডানহাতি পেসার। 

কার্টিস ক্যাম্ফারকে ফেরান হাসান মাহমুদ। পুল করতে গিয়ে ডিপ ফাইন লেগে তাসকিন আহমেদের ক্যাচ হন ক্যাম্ফার, ৪৮ বলে চারটি চারে ৩৬ রান করেন তিনি। অষ্টম ওভারে চতুর্থ উইকেটের দেখা পান হাসান। পরের ওভারে হাসান এলবিডব্লিউ করেন হিউমকে, আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউতে জিতে যায় বাংলাদেশ।

প্রথমবার এক ইনিংসে পাঁচ উইকেটের কৃতিত্ব গড়েন হাসান। আয়ারল্যান্ডকে ১০১ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ। এই প্রথমবার ওয়ানডেতে এক ইনিংসে ১০ উইকেটের সবগুলো পেয়েছে দেশের পেসাররা।

১০২ রানের লক্ষ্যে শুরু থেকেই আইরিশদের ওপর চেপে খেলেছেন দুই টাইগার ওপেনার। বিশেষ করে শুরুতে তামিম ইকবাল ছিলেন বেশি আগ্রাসী। তার আগ্রাসনে সপ্তম ওভারেই পূরণ হয়েছে দলীয় ফিফটি। লিটন শুরুতে ধীরে-সুস্থে খেললেও সময় গড়ানোর সঙ্গে আগ্রাসনের মাত্রা বাড়িয়েছেন। তাতে ১৩তম ওভারে তার ফিফটি পূরণের সঙ্গে দলের স্কোরও হয়ে যায় আইরিশদের সমান। পরের ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন অধিনায়ক তামিম।

তৃতীয় ওয়ানডেতে সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ : ১৩.১ ওভারে ১০২/০ (লক্ষ্য ১০২; তামিম ৪১*, লিটন ৫০*)।  

আয়ারল্যান্ড : ২৮.১ ওভারে ১০১/১০ (হামফ্রেস ৪*; হিউম ৩, ক্যাম্ফার ৩৬, ম্যাকব্রিন ১, অ্যাডায়ার ০, ডকরেল ০, টাকার ২৮, বালবির্নি ৬, টেক্টর ০, স্টার্লিং ৭, ডোহানি ৮)।

 

জাগরণ/খেলা/ক্রিকেট/এসএসকে