• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯, ০৪:৪৫ পিএম

ক্রীড়া পরিষদের আর্থিক বরাদ্দে বৈষম্যের অভিযোগ 

ক্রীড়া পরিষদের আর্থিক বরাদ্দে বৈষম্যের অভিযোগ 
ফাইল ফটো

 

জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগীতা আয়োজন আর প্রশিক্ষণের জন্য ফেডারেশনগুলোকে প্রথমবারের মতো আর্থিক বরাদ্দ দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। কিন্তু এই বরাদ্দে বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছে বেশ কিছু ফেডারেশন। অভিযোগের তীর সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দিকে। এমন পরিস্থিতিতে বর্তমান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দারস্থ হতে চায় বৈষম্যের শিকার হওয়া ফেডারেশনগুলো। 

দেশের একটি বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে আর্থিক ক্রীড়া পরিষদের বরাদ্দে বৈষম্যের বিষয়টি উঠে এসেছে।  

ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের সমালোচনার মুখে অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে সরে এসে অনুশীলন ও আসর আয়োজনে অবশেষে মনোযোগ দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। যদিও প্রতিভা অন্বেষণ এক বছর পরই থেমে গেছে। 

এবার নতুন করে ঘরোয়া আসরে এবং প্রশিক্ষণ প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে ক্রীড়া পরিষদ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৪ কোটি টাকা। গত বছরের আগস্ট মাসে তা অনুমোদন পেলেও এতদিন তা গোপন ছিল। গোপন রাখার কারণ পরিষ্কারভাবে বোঝা গেছে ফেডারেশনগুলোতে কত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, তার তালিকা হাতে পাওয়ার পর। তালিকায় উঠে এসেছে ফেডারেশনগুলোর মধ্যে অর্থ বরাদ্দ নিয়ে অসামঞ্জস্যতা।

তালিকায় দেখা যাচ্ছে- উশু ও বাস্কেটবল ফেডারেশন পেয়েছে সর্বাধিক ৫০ লাখ টাকা। ভারোত্তোলন পেয়েছে ৪৫ লাখ, ক্যারাম ও ক্যারাতে পেয়েছে ৩৫ লাখ, হ্যান্ডবল, ব্রিজ ও ভলিবল পেয়েছে ২৫ লাখ, সাইক্লিং পেয়েছে ২০ লাখ, খো খো ও রাগবি পেয়েছে ১৭ লাখ জুডো, বেসবল ও তায়কয়ান্দো পেয়েছে ১৫ লাখ টাকা।

অথচ দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক সময় সবচেয়ে বেশি সম্মান বয়ে আনা দাবা পেয়েছে মাত্র ১০ লাখ টাকার বরাদ্দ। সমান অর্থ পেয়েছে স্কোয়াশ, রোইং ও শরীর গঠন ফেডারেশন।

যেখানে খো খো এবং রাগবির বরাদ্দকৃত অর্থ দাবার চেয়ে ৭ লাখ টাকা বেশি। সারা বছর খেলার মাঝে থাকলেও হ্যান্ডবলের জন্য বরাদ্দ হওয়া ২৫ লাখ টাকাও অসঙ্গতির বড় উদাহরণ। 

সবচেয়ে বেশি ২০ কোটি টাকা দাবি করা ফুটবল ফেডারেশন পেয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর্চারি ও কাবাডি ফেডারেশন পেয়েছে যথাক্রমে ৮০ লাখ ও ৭০ লাখ টাকা। ৬০ লাখ টাকা করে পেয়েছে অ্যাথলেটিক্স, সাঁতার, ভলিবল, শ্যুটিং ও বক্সিং ফেডারেশন। 

আর্থিক বরাদ্দে বৈষম্যের বিষয়ে ফেডারেশনগুলোর বিস্তর অভিযোগ থাকলেও এ প্রসঙ্গে অদ্ভুত যুক্তি প্রদান করছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সর্বোচ্চ এই সংস্থার পরিচালক (অর্থ) মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, 'ফেডারেশনগুলোর চাহিদা অনুযায়ী আমরা অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি। আমাদের দৃষ্টিতে আমরা সামঞ্জস্যপূর্ণভাবেই অর্থ দিয়েছি। আমরা ডাইরেক্টর বডি বসে যে অর্থ দেওয়া প্রয়োজন মনে করেছি, সেই অর্থই ফেডারেশনগুলোকে দিয়েছি'। 

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অর্থ বরাদ্দে বৈষম্য করা নিয়ে হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনূর বলেন,' আপনি আমাকে একটা বাজেট দিতে বললেন আমি তো আমার মতো করে ১০০ কোটি টাকার বাজেট দেবো। তাই বলে কি আপনি সেই টাকা দিয়ে দেবেন? 

ক্রীড়া পরিষদের কর্তাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সরকার আপনাদেরকে বেতন দেয়। আপনারা একবারও মাঠে এসে দেখেন না কোন ফেডারেশনগুলো কি কাজ করে আর করে না। এটা তো হওয়া উচিৎ না।  

আরএস