• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ৮, ২০১৯, ০৪:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৮, ২০১৯, ০৪:৪৭ পিএম

ঈদে বেড়ানো

ঈদে বেড়ানো

ঈদের ছুটিতে প্রিয়জনদের একসঙ্গে নিয়ে বেড়ানো ঈদ আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়। ঈদের দিন সবাইকে নিয়ে বিভিন্ন মজাদার খাবার খাওয়ার পাশাপাশি অনেকেই চান পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পছন্দের কোনো জায়গায় ঘুরে বেড়াতে। সমুদ্র আর পাহাড়ে ঘেরা চট্টগ্রাম নগরের নাগালে রয়েছে আকর্ষণীয় সব বেড়ানোর স্থান। চট্টগ্রাম ঘুরতে গেলে এসব জায়গাকে মিস কিরা যাবে না। 

ফয়’স লেক: ফয়’স লেক ও সি ওয়ার্ল্ড অ্যামিউসমেন্ট পার্ক, সি ওয়ার্ল্ড এবং রিসোর্টের সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে বিনোদনকেন্দ্র ফয়’স লেক। এখানকার প্রায় পাঁচ কিলোমিটার আঁকাবাঁকা লেকের দুই পাশে সবুজের সমারোহ। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় চেপে লেক ভ্রমণ করা যায় সহজেই। অ্যামিউসমেন্ট পার্ক সাজানো হয়েছে মজার রাইড নিয়ে। এখানকার অ্যাডভেঞ্চার ল্যান্ড রেস্তোরাঁয় বসে দেখা যাবে মাছের খেলা। আর পিজনস স্কয়ারে দর্শনার্থীরা খাবার দিলে কবুতর এসে বসে কাছাকাছি। জলকেলিতে মেতে ওঠার নানা আয়োজন রয়েছে ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ডে। অ্যামিউসমেন্ট পার্ক থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ১০ মিনিটের পথ পেরোলেই দেখা মিলবে সি-ওয়ার্ল্ড। ফয়’স লেকের এক প্রান্তে গড়ে তোলা হয়েছে এই জলের রাজ্য। এখানকার সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান কৃত্রিম সমুদ্রসৈকত। সাগরের মতোই ঢেউ খেলা করে এখানে।
ভাটিয়ারী হ্রদ ও সানসেট পয়েন্ট: উঁচু-নিচু পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে চলেছে হ্রদ। হিম হিম বাতাস। নগরের সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত পাহাড়ঘেরা ভাটিয়ারী হ্রদের তীরের চিত্র এটি। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তার দুই ধারে পর্যটকদের জন্য রয়েছে বসার জায়গা। দুই ধারে সবুজ পাহাড়ের দেয়াল, তার মাঝে বয়ে চলেছে হ্রদ। হ্রদের অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করার জন্য নৌকার ব্যবস্থাও আছে। পর্যটকদের জন্য রয়েছে সেনানিবাস কর্তৃপক্ষ পরিচালিত একটি ক্যান্টিন। আছে নান্দনিক পার্কও।

পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত: সাগরের ঢেউয়ের কলতান। দূরে জাহাজের সারি। মনোরম এই পরিবেশ কাছে টানে দর্শনার্থীদের। ঈদের দিন থেকে টানা কয়েক দিন মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকে সৈকতে। বিশেষ করে, বিকেলে সৈকতে ঘুরে বেড়ানোর মজাই অন্য রকম। স্পিড বোটে চড়ে এক চক্কর দেওয়া যায় সৈকতের আশপাশে। ঘোড়ার পিঠে ও বিচ বাইকে চড়েও ভ্রমণ করা যাবে সৈকতে।
ওয়েস্টার্ন ক্রুজে কর্ণফুলীর মোহনায়: প্রমোদতরী ওয়েস্টার্ন ক্রুজে চড়ে ঘুরে আসা যায় বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলীর মিলনস্থলে। বন্দরের বহির্নোঙর দেখার এ এক দারুণ সুযোগ। এ ছাড়া জাহাজে থাকে জাদু প্রদর্শনী ও সুরের মূর্ছনা। ঈদের দিন থেকে টানা সাত দিন রয়েছে জাহাজে চড়ার ব্যবস্থা। প্রতিদিন বিকেল পাঁচটায় চট্টগ্রামের বোট ক্লাব ঘাট থেকে ছাড়ে জাহাজ।


ওয়ার সিমেট্রি : নগরীর প্রবর্তক মোড় পেরিয়ে বাদশা মিয়া রোডে এর অবস্থান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের একাংশ এখানে সমাহিত করা হয়েছে। ফুলের বাগান বেষ্টিত মনোরম এ স্থান স্মরণ করিয়ে দেয় সেইসব সৈন্যদের শৌর্যবীর্য ও বীরত্বগাথা। ছোট ছোট সমাধিফলক সারিবদ্ধভাবে সাজানো।
সীতাকুণ্ড: চট্টগ্রামের মূল শহরে প্রবেশের আগেই সীতাকুণ্ড । বাসে বসেই দেখা যায় সুন্দর কিছু পাহাড়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এ জায়গাটির গুরুত্ব অনেক। রামায়ণে বর্ণিত কাহিনীর অন্যতম পটভূমি সীতাকুণ্ড । বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছেও এ স্থান কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। এখানে রয়েছে একটি বৌদ্ধমন্দির। বৌদ্ধমন্দিরে গৌতম বৌদ্ধের পায়ের ছাপ রয়েছে। চন্দ্রনাথ মন্দিরটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সব মানুষের পছন্দের জায়গা। এটি অবস্থিত পাহাড়চূড়ায়।
বাটারফ্লাই পার্ক: চট্টগ্রামের পতেঙ্গা নেভাল একাডেমি রোডে ছয় একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাটারফ্লাই পার্ক। এ পার্কে নানা রঙের প্রজাপতির দেখা মেলে । এ প্রজাপতি পার্কে রয়েছে ট্রপিক্যাল গার্ডেন, বাটারফ্লাই জোন, বাটারফ্লাই মিউজিয়াম, বাটারফ্লাই রিয়ারিং রুম, কৃত্রিম লেক-ঝর্ণা, ফিশফিডিং জোন ও বাটারফ্লাই ফিডিং জোন।
এ ছাড়া ঈদের ছুটিতে অভয়মিত্র ঘাট, কাজির দেউড়ি ও আগ্রাবাদ জাম্বুরি মাঠের শিশুপার্ক, স্বাধীনতা পার্ক, কাট্টলি সমুদ্রসৈকতও ঘুরে আসতে পারেন।