• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০১৯, ০৯:৩৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৮, ২০১৯, ০৯:৩৬ পিএম

‘ঢাবি সাংবাদিক সমিতি একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে’

‘ঢাবি সাংবাদিক সমিতি একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে’
অনুষ্ঠানে সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয় -ছবি : জাগরণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ডুজা আয়োজিত ‘পেশাদারি সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধকতা ও আগামীর চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক বার্ষিক সেমিনার ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপাচার্য এ সব কথা বলেন। 

ঢাবি সাংবাদিক সমিতির নব-নির্বাচিত সভাপতি রায়হানুল ইসলাম আবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সমিতির নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মাহদী আল মুহতাসিম নিবির। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল আলম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, ডুজার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জিটিভির প্রধান নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান, সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুব রনি, সদ্য সাবেক সভাপতি আসিফ ত্বাসীন, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নয়ন প্রমুখ।
 
সাংবাদিক সমিতি সম্পর্কে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (ডুটা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)- এগুলো একটা বড় বড় নামে রূপান্তরিত হয়েছে। আমি দেখে অত্যন্ত আনন্দিত অনেক সময় অনেক পরীক্ষায় আসে ডুজা মানে কি (হোয়াট ডাজ ইট স্টান্ড ফর ডুজা)। এর মানে এর গুরুত্ব এবং তাৎপর্য বিবেচনায় সাংবাদিক সমিতি সবসময় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এ সময় উপাচার্য সাংবাদিক সমিতির নতুন এবং পুরাতন কমিটিকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানান।

সাংবাদিকতায় প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, প্রতিবন্ধকতা হলো বস্তুনিষ্ঠতার জায়গা। এই বিষয়টি ঘাটতি পড়লে সাংবাদিকতায় প্রতিবন্ধকতা আসে। বস্তুনিষ্ঠতা খুবই জরুরি। সংবাদপত্রগুলোতে একই ধরনের শব্দ-বাক্যের খবরের সমালোচনা করে উপাচার্য বলেন, এগুলো হলো সিন্ডিকেটের খবর এবং কেউ সেটা ‘ডিক্টেট’ করে। কারও ভাড়াটে হিসেবে খবর পরিবেশন না করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। 

সাইফুল আলম বলেন, সাংবাদিকতার পেশাদারিত্ব কথাটি অনেক ভারি। ভারি এই কারণে যে যখন আমি এই অর্থের মূল্যায়ন করতে যাই তখন ভাবি আমি কি পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে পেরেছি? এই মূহুর্তে দেশে সংবাদপত্রের অভাব নেই।সরকারিভাবে তিন হাজারের বেশি সাংবাদপত্র আছে, ৩০-৩৩টি টেলিভিশন চ্যানেল, অনেক রেডিও, অনলাইন আছে অর্থাৎ তথ্যের প্রবাহে কোনো ঘাটতি নেই বলা চলে। এ রকম সময়ে আমরা সাংবাদিকতায় কতটা পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে পারি সেটা নিজেকে মাঝে-মধ্যে প্রশ্ন করি। পুঁজিশক্তি, সন্ত্রাসী শক্তি ও রাজনৈতিক শক্তি সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা ভঙ্গুর করে দিচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
 
অনুষ্ঠানে সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। পরে বিদায়ী কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক ও অতিথিদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর, জিএস গোলাম রাব্বানী, এজিএস সাদ্দাম হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হক, ডাকসুতে ছাত্রদলে জিএস প্রার্থী আনিছুর রহমান খন্দকার অনিকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
 

এমআইআর/এসএমএম