• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০১৯, ০৬:১৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৪, ২০১৯, ০৬:১৮ পিএম

রাজধানী মহিলা কলেজে সুচিন্তা’র জঙ্গিবাদবিরোধী সেমিনার

রাজধানী মহিলা কলেজে সুচিন্তা’র জঙ্গিবাদবিরোধী সেমিনার
চিকিৎসক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা. আব্দুন নূর তুষার

‘জাগো তারুণ্য, রুখো জঙ্গিবাদ’ শিরোনামে জঙ্গিবাদবিরোধী এক সেমিনারের আয়োজন করেছে সুচিন্তা ফাউন্ডেশন। সোমবার (২৪ জুন) সকালে মিরপুর রাজধানী মহিলা কলেজে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে বক্তব্য রাখেন চিকিৎসক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা. আব্দুন নূর তুষার। এ সময় তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ নিয়ে আলোচনা করেন।

ডা. আব্দুন নূর তুষার বলেন, কোনটি প্রতিবাদ আর কোনটি জঙ্গিবাদ সে পার্থক্য বুঝতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা যুদ্ধ করেছিলাম অন্যায়ের বিরুদ্ধে, নৈতিকতার পক্ষে। আর জঙ্গিবাদ হলো নিজের স্বার্থে, গোষ্ঠীর স্বার্থে, অন্যায়ভাবে ক্ষমতা দখলের জন্য ইসলামের নামে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা।

মিরপুর রাজধানী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা 

তিনি আরও বলেন, ইসলাম কখনই জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না। কোন মানুষ কেন, বিনা ওজরে কোন প্রাণিকেও হত্যা করতে ইসলাম অনুমোদন দেয়নি। আরবে নবী কারীম (সাঃ) এর সময় ইহুদী এবং মুসলমানরা একই সঙ্গে বসবাস করেছে। তিনি কখনই কাউকে হত্যা করতে বলেননি, প্রশ্নই ওঠে না। ইসলামে প্রকৃত মুসলমান বলা হয়েছে তাকেই, যার কাছে কেবল অন্য মুসলমান নয়, যে কোন ব্যক্তিই নিরাপদ।
 
তুষার বলেন, জঙ্গিরা তাদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য, ক্ষমতার স্বার্থে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। টার্গেট করে তরুণদের। নিজেরা নিরাপদে থেকে, ক্ষমতায় থেকে অন্যকে অনিরাপদ করে তোলে। বেহেশতের স্বপ্ন দেখায়। অথচ সেই বেহেশতে তারা নিজেরা যেতে চায় না। তারা যে বেহেশতের কথা বলে সেই বেহেশত আসলে ‘দোযখ’। মহান আল্লাহ পাক খুব অল্প সংখ্যক মানুষকে দুনিয়াতে থাকাকালীন বেহেশতের ফয়সালা করেছেন। তারা অনেক মহৎ, মহান মানুষ। তাছাড়া কেউ জানেন না কে বেহেশতে যাবে আর কে দোযখে। সুতরাং যারা এখানে বসে মানুষকে বেহেশতের ঘোষণা দেয়, বুঝতে হবে তারা জালিম শয়তান। শুধু তাই নয় এর চেয়ে বড় র্শিক আর কিছু নেই।
 
সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর ও এই কার্যক্রমের সমন্বয়ক কানতারা খান বলেন, জঙ্গিবাদকে তোমাদেরই রুখতে হবে। আজকে যারা ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করছে, অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলতা করছে এরা কেউই প্রকৃত মুসলিম হতে পারে না।
 
তিনি আরও বলেন, হলি আর্টিজানে যে নিরীহ, নিরাপরাধ মানুষদের হত্যা করা হয়েছে তাদের অনেকেই মেট্রোরেলের কাজে দেশে এসেছিলেন। কি ছিল তাদের অপরাধ? তারাতো ভিনদেশি। তারা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। যারা তাদেরকে হত্যা করেছে, তারা যে বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না, দেশকে পিছিয়ে দিতে চায়, অন্ধকারে ঠেলে দিতে চায় তা স্পষ্ট বোঝা যায়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন একই ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুশান্ত সরকার। সবশেষে সমাপনী বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ শিব শঙ্কর সরকার। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন ‘আজ সারাবেলা’র সম্পাদক জব্বার হোসেন।


একেএস