• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০১৯, ০৫:৫২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১২, ২০১৯, ০৫:৫২ পিএম

বিপণন পেশাজীবীদের দক্ষতা উন্নয়নে জোর দিতে হবে : শিল্পমন্ত্রী

বিপণন পেশাজীবীদের দক্ষতা উন্নয়নে জোর দিতে হবে : শিল্পমন্ত্রী
‘বাংলাদেশ মার্কেটিং দিবস’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন - ছবি : জাগরণ

দেশের শিল্প-বাণিজ্যকে বৈশ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে এগিয়ে নিতে ব্যবসায় বিপণন পেশাজীবীদের দক্ষতা উন্নয়নে জোর দিতে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। এসময় বিপণন খাতের পেশাজীবীদের আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক উন্নয়নের উপরও জোর দেন তিনি। 

শুক্রবার (১২ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ মার্কেটিং দিবস’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

‘ভোক্তাই প্রথম’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশের বাণিজ্য বিপণন খাতের পেশাজীবী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে নতুন সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে দ্বিতীয়বারের মতো এ দিবসের আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ মার্কেটার ইনস্টিটিউট’। এতে উপস্থিত ছিলেন- বিপণন দিবস উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. ফারহাত আনোয়ার, মার্কেটিং ডে আয়োজক পরিষদের সদস্য সচিব ড. শরিফুল ইসলাম দুলু প্রমুখ। এ ছাড়াও দিনব্যাপী এ আয়োজনে দেশের ব্যবসায় বিপণন খাতের শিক্ষক, ছাত্র এবং পেশাজীবীরাও অংশগ্রহণ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) প্রাঙ্গণে ‘বাংলাদেশ মার্কেটিং দিবস’ এর উদ্বোধনী র‌্যালি  - ছবি : জাগরণ

অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বৈশ্বিক বিপণন কৌশল আধুনিকায়ন হচ্ছে। প্রথাগত বাণিজ্য কৌশলে নতুন গ্রাহকদের কাছে পণ্য পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়বে যদি না বিপণন পেশাজীবীদের ‘সময়োপযোগী দক্ষতা’র উন্নয়ন না হয়। এসময় তিনি দেশের ব্যবসায় শিক্ষায় উদ্ভাবনী বিপণন বিষয়কে গুরুত্ব দিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংযোগ বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ জানান। 

উদ্বোধনী বক্তব্যে অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, মার্কেটিং বলতে সম্পর্ক স্থাপন ও উন্নয়নকে বোঝায়। এ ছাড়াও মার্কেটিং পেশায় জ্ঞান ও দক্ষতার সমন্বয়ের প্রয়োজন হয়। তিনি বলেন, সমাজে মার্কেটিং পেশার সঙ্গে জড়িতরা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা একটি পণ্য ও সেবাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেন। এটি একটি মহৎ পেশা। অথচ দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, তারা অন্যান্য পেশাজীবীদের মতো তাদের প্রাপ্য সম্মান পান না। তারা তাদের পেশার কথা সমাজে ঠিক মতো বলতেও পারেন না। তারা আত্মগ্লানিতে ভোগেন। এজন্য এই পেশার জড়িতদের এই বিষয়টি উপলব্ধি করাতে হবে যে, অন্যান্য পেশার ন্যায় এই পেশাও একটি মহান পেশা।

তিনি বলেন, মার্কেটিং পেশায় অনেক সমস্যা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, সেলসম্যানদের ঠিক মতো বেতন দেয়া হয় না। এ ছাড়াও দেখা যায়, সেলস ম্যানেজার হিসেবে অনেক সময় দক্ষ লোক থাকে না। ফলে সেলসম্যানরা নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন। এসব সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসতে হবে, কথা বলতে হবে।

অধ্যাপক ফারহাত আনোয়ার বলেন, মার্কেটিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের জ্ঞান ও দক্ষতার সমন্বয় ঘটাতে হবে। এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে চাহিদা সৃষ্টি করতে হবে। চাহিদা সৃষ্টি করে সেই পণ্য ও মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়াই মার্কেটারদের কাজ। মার্কেটিংয়ে মানুষের মূল্যায়ন জরুরি বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষের চাহিদা কখনো শেষ হয় না। মানুষ আর যন্ত্রের মধ্যে এইটাই পার্থক্য। এজন্য মানুষকে মূল্যায়ন করতে পারলে মার্কেটিংয়ে সফল হওয়া সম্ভব।

অনুষ্ঠানে ক্রেস্ট প্রদান এবং উত্তরীয় পরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে অতিথিদের সম্মাননা জানানো হয়। এসময় বাংলাদেশ মার্কেটার ইনস্টিটিউট প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন তারা। এর আগে উদ্বোধনী র‌্যালি, জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ওড়ানোর মাধ্যমে এই দিবসের উদ্বোধন করা হয়। দিনব্যাপী এ আয়োজনে পেশাগত অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন বিপণন খাতের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং পেশাজীবীগণ। 

এমআইআর/ এফসি

আরও পড়ুন