• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০১৯, ০৯:৫২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৫, ২০১৯, ১০:১৯ এএম

‘এরশাদের মতো স্বৈরশাসকের স্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য অপরাজনীতি দায়ী’

‘এরশাদের মতো স্বৈরশাসকের স্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য অপরাজনীতি দায়ী’

‘স্বৈরাচার’ বলে ‘কুখ্যাত’ সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’তে ঘৃণা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। রোববার (১৪ জুলাই) বিকালে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এরশাদের স্বাভাবিক মৃত্যুর খবর শুনে তাৎক্ষণিকভাবে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। এতে এরশাদের মতো একজন স্বৈরশাসকের স্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য অপরাজনীতি দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন তারা।

তারা বলেন, হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ বাংলাদেশের একজন কুখ্যাত স্বৈরশাসক। তার মতো স্বৈরাচারী সরকারের মৃত্যু হওয়ার কথা ছিল ফাঁসির দড়িতে। কিন্তু তার হলো স্বাভাবিক মৃত্যু। যা শহীদদের জন্য অপমানজনক। এরশাদের স্বাভাবিক মৃত্যুতে শহীদ ডাক্তার মিলন, রাউফুন বসুনিয়া, দিপালি সাহা, জয়নালের মতো শহীদদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। এসব শহীদদের এরশাদের নির্দেশে হত্যা করা হয়েছে। তার স্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য দায়ী বাংলাদেশের অপরাজনীতি।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল, সাধারণ সম্পাদক অনিক রায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল করিমসহ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

সেখানে মেহেদী হাসান নোবেল বলেন, এরশাদ বাংলাদেশের একজন কুখ্যাত স্বৈরাচার। তিনি ক্ষমতায় থাকার সময় ছাত্রদের উপর গুলিবর্ষণ করা হয়। শুধুমাত্র ঢাকা শহরের না, সারাদেশেই এরশাদের গুণ্ডা ও সেনাবাহিনীর হাতে অগণিত মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। আমরা মনে করি, একজন স্বৈরশাসক আজকে যে মর্যাদার সাথে মৃত্যুবরণ করলেন, এটা তার সঙ্গে হওয়ার কথা ছিল না। 

এসময় তিনি এরশাদকে জেলখানা বা ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলে মৃত্যুবরণ করার কথা ছিল বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অপরাজনীতির কারণে তিনি রাষ্ট্রীয় সম্মান পাচ্ছেন। এটা শহীদদের সঙ্গে প্রতারণা। এটি ডাক্তার মিলন, রাউফুন বসুনিয়া, জয়নালদের প্রতি অবিচার।

ফয়েজ উল্লাহ বলেন, স্বৈরাচার সরকার এরশাদের বিরুদ্ধে এটা আমাদের নীরব প্রতিবাদ। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের বিচার হয় না। স্বৈরাচারের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এরশাদের নির্দেশে অনেক শ্রমিক ও ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালানো হয়েছে। কিন্তু তার বিচার হয়নি। আমরা তার প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করছি। 

মানববন্ধনে তারা এরশাদের স্বাভাবিক মৃত্যুতে ঘৃণা প্রকাশ করে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। তাতে লেখা ছিল- ‘আমি জয়নাল এরশাদের স্বাভাবিক মৃত্যু আমার রক্তের সাথে প্রতারণা’, ‘আমি নূর হোসেন এরশাদ আমার খুনী’, ‘আমি ডা. মিলন আমার খুনী এরশাদের স্বাভাবিক মৃত্যু চাইনি’, ‘আমি দিপালী সাহা এরশাদ আমার খুনি’, ‘আমি রাউফুন বসুনিয়া আমার হত্যাকারীর বিচার চাই’ ইত্যাদি। 

এমআইআর/টিএফ
 

আরও পড়ুন