• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০১৯, ০৭:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২২, ২০১৯, ০৭:৫৪ পিএম

সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জঙ্গিবাদবিরোধী সেমিনার অনুষ্ঠিত

সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জঙ্গিবাদবিরোধী সেমিনার অনুষ্ঠিত
সুচিন্তা ফাউন্ডেশন আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা-ফটো রিলিজ

‘জাগো তারুণ্য রুখো জঙ্গিবাদ’ শিরোনামে সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের নিয়মিত জঙ্গিবাদবিরোধী কার্যক্রমের এবারের সেমিনারটি আয়োজন করা হয় রাজধানীর ধানমণ্ডি ইউনিভার্সিটি উইমেনস ফেডারেশন কলেজে।

প্রায় দুই বছর ধরে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সেমিনার করে আসছে সুচিন্তা

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক ড. সেলিম মাহমুদ ও আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নাসরিন সিদ্দিকা লিনা।

ইউনিভার্সিটি উইমেনস্ ফেডারেশন কলেজের উপাধক্ষ্য আইনুন নাহার তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, ‘ধর্ম প্রত্যেকের ব্যক্তিগত বিশ্বাস এবং অধিকার। সেই বিশ্বাস ও অনুভূতির জায়গাটিতে তারা আঘাত করছে ক্ষমতা ও বাণিজ্যিক স্বার্থের লোভে। যার সঙ্গে ধর্মের আদৌ কোনও সম্পর্ক নেই। জঙ্গিবাদের ফলে ইসলামকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। তারা যে ইসলামের কত বড় শত্রু তা আমাদের বোঝা দরকার। ইসলামে বলা হয়েছে, সেই প্রকৃত মুসলমান যার কাছে অন্য ধর্মের মানুষের জান, মাল নিরাপদ থাকে।’

সেলিম মাহমুদ বলেন, জঙ্গিবাদ হচ্ছে একটি পশ্চিমা ষড়যন্ত্র। ইসলামের নামে যারা জঙ্গি হচ্ছে তারা নিজেদের ধংস করা ছাড়া আর কিছুই করছে না। ইসলামের কোথাও বলা হয়নি মানুষ হত্যা করতে। তারা যে আত্মঘাতী হয়ে সুইসাইডাল অ্যাটাক করছে সরাসরি জান্নাতের যাবার আশায়- এটা বড় ভূল, মহাপাপ। কারণ ইসলামে বলা হয়েছে আত্মহত্যা মহাপাপ।

তিনি বলেন, মানুষকে অনেকভাবেই মোটিভেটেড করা যায়। মানুষ কখনও নিজেই অস্ত্র হয়ে ওঠে আবার কখনও বা ফুল। নাইন ইলেভেনের সময় যে ছেলেরা আক্রমণ করেছিল তাদের সবাইকে টেনিং দেয়া হয়েছিল মোটিভেটেড করা হয়েছিল আত্মঘাতী হয়ে উঠতে। মনে রাখতে হবে জীবন একটাই, মানুষ একবারই পৃথিবীতে আসে। তাই নিজের প্রতি, নিজের পরিবারের প্রতি, চারপাশের মানুষের প্রতি, সমাজের প্রতি, রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের প্রত্যেকের কিছু দায়িত্ব আছে। সেই জায়গা থেকে দাঁড়াতে হবে প্রত্যেককে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে।’

নাসরিন সিদ্দিকা লিনা বলেন,  যে চেতনার ওপর ভর করে এদেশে জঙ্গিবাদ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল সেই চেতনাকে রুখতে এবং এর ভয়ঙ্কর পরিণতি সম্পর্কে সামাজিক জাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে সুচিন্তা ফাউন্ডেশন যে কাজ করে যাচ্ছে সে জন্য তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের উচিত এই ধরনের সামজিক সচেতনতায় অংশ নেয়া। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

সুচিন্তার গবেষণা সেলের পক্ষ থেকে আশরাফুল আলম শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্ন উত্তর দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আজ সারাবেলার সম্পাদক জববার হোসেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

এসএসএম

আরও পড়ুন