• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০১৯, ০১:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৭, ২০১৯, ০৬:২৪ পিএম

বুয়েট শিক্ষার্থী ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা

বুয়েট শিক্ষার্থী ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা
আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-ছবি : সংগৃহীত

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়েছে। বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১২ কক্ষে তাকে নিমর্মভাবে পিটিয়ে হত্যার পর তার মরদেহ তোশক দিয়ে পেঁচিয়ে হলের নিচতলা এবং দোতলার ফাঁকা স্থানে ফেলে যায় ঘাতকরা।

সিসিটিভির ফুটেজ এবং অন্যান্য আলামত ও তথ্যের বরাত দিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জানান, ২০১২ কক্ষটি বুয়েট শেরেবাংলা হল শাখার ছাত্রলীগ নেতা অমিত, সকাল ও রুপমের। গভীর রাতে ওই কক্ষে ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা। হলের ছাত্রলীগের ক্যাডাররা ফাহাদকে শিবিরের অপবাদ দেয়া হয় বলেও অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় ২০১২ কক্ষের সদস্যসহ ২ শিক্ষার্থীকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। আটক শিক্ষার্থীরা হলেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ও সহ-সভাপতি ফুয়াদ।

কৃষ্ণপদ রায় বলেছেন, ফাহাদকে কোন কক্ষে পিটানো হয়েছে, সেখানে কারা ছিল, কক্ষের সামনে কত জোড়া সেন্ডেল এবং পিটানাের পর তোশক পেচিয়ে ফাহাদকে কারা সিঁড়ির ফাঁকা স্থানে ফেলে রেখে গেছে। সব তথ্যই আমাদের কাছে রয়েছে। তবে এটা বলা যায়, ফাহাদকে মারধর করা হয়েছিল। আমরা দুজনকে এনেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে জড়িত থাকলে আইনের আওতায় আনা হবে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যার সময়কার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ গায়েব করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এর প্রতিবাদে প্রভোস্ট কার্যালয় ঘিরে রেখেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে, রাত ২টা ৬ মিনিটের পর আর কোনও ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া একাধিক শিক্ষার্থী মোবাইলে ভিডিও করার কথা শোনা গেলেও তা এখনও পাওয়া যায় নি।

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ -ছবি : সংগৃহীত

ফাহাদকে হত্যার বিচার দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলনের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। যার অংশ হিসেবে সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বুয়েট অভিমুখে বিক্ষোভ করবে শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৬ অক্টোবর) রাত তিনটার দিকে বুয়েট’র শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয়তলা থেকে ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, রোববার রাত আটটার দিকে একদল ছাত্র আবরারকে তার রুম থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে রাত দুইটার দিকে শেরেবাংলা হলের প্রথমতলা ও দ্বিতীয়তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদের মরদেহ দেখতে পায় অন্য শিক্ষার্থীরা।

ফাহাদের মরদেহের সুরতহালে বলা হয়েছে, ‘‘ফাহাদের দুই পাসহ সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। সেখানে শিক্ষার্থীরা ভিড় করছেন। ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে এমনটাই দাবি করে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা।

এইচএম/এসএমএম

আরও পড়ুন