• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০১৯, ০২:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১২, ২০১৯, ০৩:০৬ পিএম

বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

৪৮ ঘণ্টার জন্য শিথিল, ভর্তি পরীক্ষা হবে

৪৮ ঘণ্টার জন্য শিথিল, ভর্তি পরীক্ষা হবে
আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-ফাইল ছবি

৫ দফা দাবি পূরণ করায় ৪৮ ঘণ্টার জন্য আন্দোলন কর্মসূচি শিথিল করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফলে ১৪ অক্টোবর (সোমবার) নির্ধারিত বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে বুয়েটের শহীদ মিনারের সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

তারা বলেন, বুয়েট প্রশাসন এরই মধ্যে আমাদের ৫ দফা দাবি মেনে নোটিশ টানিয়ে দিয়েছে। এটা আন্দোলনের প্রাথমিক বিজয়। ফলে আমরা ১৩ ও ১৪ অক্টোবরের জন্য চলমান আন্দোলন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করি এই সময়ের মধ্যেই সব দাবি মানার সিদ্ধান্ত দৃশ্যমান করবেন বুয়েট প্রশাসন।

তারা আরও বলেন, আমরা জানি ১৪ অক্টোবর বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা। আমরা চাই ভর্তি পরীক্ষা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হোক। পরীক্ষা বানচালের দায় আমরা নিতে চাই না।

তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। ভিসি স্যারকেও ধন্যবাদ। দাবি বাস্তবায়ন শুরু হওয়ায় আন্দোলন আপাতত শিথিল। পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত। আসলে ৫ দফার অগ্রগতি হয়েছে। তবে আমাদের ১০ দফার আন্দোলন চলবে। আন্দোলন আপাতত শিথিল। অবৈধ সিট দখলকারীদের উৎখাত করা শুরু হয়েছে। সিসিটিভি লাগছে।

এর আগে আবরার ফাহাদ হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও ৫ দফা দাবি আদায়ে বুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবিগুলো হলো- হত্যাকারীদের বুয়েট থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এ মর্মে নোটিশ দেয়া, সাংগঠনিক রাজনীতির নিষিদ্ধের জন্য অবৈধ ছাত্রদের সিট বাতিল করা, সাংগঠনিক অফিস সিলগালা করা, ফাহাদের মামলার খরচ দেয়ার নোটিশ দেয়া ও ভিন্নমত দমানোর নামে নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করা এবং এ ধরনের ঘটনা প্রকাশে একটি কমন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সব হলের সিসিটিভির ফুটেজে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা।

রোববার (৬ অক্টোবর) রাত ৩টার দিকে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই রাতেই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানান, তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর চক বাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ্। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন