• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০১৯, ০৫:০৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৭, ২০১৯, ০৫:১৩ পিএম

উত্তাল বুয়েট এখন নিস্তব্ধ

উত্তাল বুয়েট এখন নিস্তব্ধ
সাপ্তাহিক ছুটির প্রভাবে নিস্তব্ধ বুয়েট ক্যাম্পাস -ছবি : জাগরণ

ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর এই প্রথম বুয়েট ক্যাম্পাস এত নীরব, নিস্তব্ধ। নেই কোনো মিছিল, বিক্ষোভ, স্লোগান। কোথাও নেই শিক্ষার্থীদের কোলাহল। বৃহস্পতি ও শুক্র এই দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি। এ কারণে ক্যাম্পাস ঝিমিয়ে পড়েছে। এভাবে আর কাউকে যাতে জীবন দিতে না হয় এটাই আমাদের প্রত্যাশা। বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে ক্যাম্পাসে আসা বুয়েট শিক্ষার্থী শাহরিয়ার এভাবেই জানালেন তার অনুভূতির কথা।

সরেজমিনে বুয়েটের শহীদ মিনারে দেখা যায়, আন্দোলনকারীদের কেউ নেই। সামনের রাস্তা ফাঁকা, গেটে নিরাপত্তা কর্মীরা ঝিমুচ্ছেন। নেই কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থী। যানবাহনেরও খুব একটা চাপ নেই। পরিবেশ দেখলে মনেই হবে না, কদিন আগে শেরে বাংলা হলের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকালও যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্দোলনে উত্তাল ছিল বুয়েট ক্যাম্পাস।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) গণশপথের মধ্যদিয়ে মাঠ পর্যায়ের আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলেই আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।

গতকাল দুপুরে বুয়েট মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের উপস্থিতিতে এ গণশপথ অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ব ঘোষণা অনুসারে বেলা সোয়া ১টায় বুয়েট মিলনায়তনে এ গণশপথ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে, কর্মসূচিতে অংশ নিতে সকাল থেকে বুয়েট ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরিচয়পত্র দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের মিলনায়তনে প্রবেশ করতে দেখা যায়।

এদিকে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে যাদের নাম আসবে, তাদের সবাইকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত কোনো ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন না বলে ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা গণশপথে অংশ নেয়ার মাধ্যমে ক্যাম্পাস থেকে সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দাঁড়ানোর জন্য প্রতিজ্ঞা নেয়ার কথা জানান।

গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এ ঘটনায় বুয়েট শাখা ছাত্র লীগের নেতাসহ ১৯ জনকে আসামি করে নিহত ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় হতা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগের নেতাসহ ১৩ জনকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দারা।

এরপর থেকে ১০ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মুখে ইতোমধ্যে দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বুয়েট প্রশাসন। এসব দাবি বাস্তবায়নের বিষয়ে নোটিশও প্রদান করা হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীরা মাঠের আন্দোলনে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেয়।

এইচএম/একেএস

আরও পড়ুন