যথা সময়েই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের তিনটি উল্লেখযোগ্য দাবি রয়েছে। তার মধ্যে আমরা চূড়ান্ত বহিষ্কারের দাবি মেনে এরই মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি, বাকিগুলোও সঠিক সময়েই পূরণ করা হবে। আশা করছি দাবি পূরণ হলে শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরবে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে শিক্ষার্থীদের এমনটাই জানিয়েছেন বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।তিনি বলেন, এ সপ্তাহের মধ্যে র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট শাস্তির বিষয়ে চূড়ান্ত নোটিশ জারি করা হবে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সমন্বয়ক অন্তরা তিথি ও দাইয়ান দৈনিক জাগরণকে বলেন, আমাদের ১০টি দাবি ছিল। এর মধ্যে প্রশাসন কিছু মেনে নিয়েছে। কিছু মানেনি। সর্বশেষ আমরা তিনটি দাবি জানিয়েছি। সেগুলো হলো- হত্যা মামলার চার্জশিটের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা, আহসান উল্লাহ, তিতুমীর ও সোহরাওয়ার্দী হলের র‌্যাগের ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি দেয়া এবং সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি ও র‌্যাগের জন্য শাস্তির নীতিমালা করে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট থেকে অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্সে অন্তর্ভূক্ত করা। এর মধ্যে প্রথমটি পূরণ হয়েছে। বাকিগুলোর জন্য তিন সপ্তাহের সময় চেয়েছে প্রশাসন। এর মধ্যে এক সপ্তাহ অতিক্রম করেছে। বাকি দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করবো। তারপরেই আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবো।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এক বৈঠক করেন শিক্ষার্থীরা। বৈঠকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সপ্তাহের সময় চাইলে এতে সম্মত হয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থী বলছেন, নিরাপদ ক্যাম্পাসের স্বার্থে এই সময়কে মেনে নিয়েছি। প্রয়োজনে আমরা দেরিতেই পরীক্ষা দেবো।

এইচএম/এসএমএম