ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি নারী আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই নারী সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও মিছিল করা হয়।
নারী সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন কাবেরী গায়েন, লেকচারার মার্জিয়া রহমান, সহযোগী অধ্যাপক কাজলী শেহেরীন ইসলাম ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা।
সাদেকা হালিম বলেন, ধর্ষণের মতো এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য দেশের পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মনোভাব ও চলমান সংস্কৃতি সমানভাবে দায়ী।
কাবেরী গায়েন বলেন, বিভক্ত হলে চলবে না। ঐক্যবদ্ধ হয়ে যে কোনও অপরাধের বিরুদ্ধে জাগতে হবে। অন্যথায় দাবি আদায় করা সম্ভব নয়।
অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ছাড়া কখনই একটি ধর্ষণমুক্ত সমাজ গঠন করা সম্ভব নয়। আমাদের সেই ছাত্রীর মতো সকল ভুক্তভোগী নারী যদি ধর্ষকের শাস্তি চাইতো তাহলে ধর্ষকরা মাথাচড়া দিয়ে উঠতে পারতো না।
নারী সমাবেশে কবি সুফিয়া কামাল হলের ভিপি তানজিমা সোমা ৮ দফা দাবি তুলে ধরেন।
৮ দফা দাবি—
১. ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।
২. দেশের সব আদালতে নারী নিপীড়ন সেল গঠন করে ধর্ষণের মামলার বিচার সর্বোচ্চ ১ বছরের মধ্যে করতে হবে।
৩. টিএসসি থেকে সুফিয়া কামাল হল, গণতন্ত্র তোরণ থেকে সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউট পর্যন্ত ল্যাম্পপোস্ট ও সিসি ক্যামেরা দিতে হবে।
৪. পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের নিজস্ব ইস্যু নিয়ে কনসাল্ট করার জন্য ৪/৫ জন মহিলা টিচার দিয়ে ফিমেল উপদেষ্টা নিয়োগ দিতে হবে। তারা প্রয়োজনে আইনি সহায়তা দেবেন।
৫. বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের যে কোনও আইনি সহয়তার খরচ বিশ্ববিদ্যালয়কে বহন করতে হবে।
৬. ক্যাম্পাস থেকে ভবঘুরে, নেশাখোর ও পাগলদের অপসারণ করতে হবে।
৭. ক্যাম্পাসের বাসের স্টপেজগুলোর নিরাপত্তা পুনর্বিবেচনা করা ও ছাত্রীদের মতামতকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
৮. ইমার্জেন্সিতে অনাবাসিক ছাত্রীদের হলে অবস্থান করতে দিতে হবে।
এসএমএম