• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০, ০৫:৪১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০, ০৫:৪১ পিএম

এআরএফ বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

‘রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে পারে’

‘রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে পারে’
এআরএফ-এর ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে অংশগ্রহণকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন - ইউএনবি

রোহিঙ্গা সমস্যা দ্রুত নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকটের কোনো সমাধান না হলে এ অঞ্চলে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে যা শান্তিপূর্ণ, সুরক্ষিত এবং স্থিতিশীল একটি অঞ্চলের আশায় হতাশার কারণ হতে পারে।

শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ২৭তম আসিয়ান রিজিওনাল ফোরামে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ সময় সন্ত্রাসীদের কোনো সীমান্ত নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের ভয় হলো, যদি এ সমস্যাটি দ্রুত সমাধান না করা হয় তবে এটি উগ্রপন্থার জন্ম দিতে পারে।’

অর্থনীতি, পরিবেশ এবং সামগ্রিক সামাজিক প্রভাবের জন্য হুমকি সত্ত্বেও, মিয়ানমারে গণহত্যার মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির প্রায় ১১ লাখ নিপীড়িত মানুষকে মানবিক দিক বিবেচনায় নিজ ভূমিতে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।

ড. মোমেন বলেন, 'বাংলাদেশ গঠনমূলক কূটনীতির মাধ্যমে এ সংকট সমাধানে আগ্রহী। মিয়ানমার আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ, তাই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ মিয়ানমারের সাথে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যাচাই-বাছাই শেষে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছিল, কিন্তু এখনও কাউকে ফেরত নেয়া হয়নি।

তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি এবং বাস্তুচ্যুত মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সে সময় সম্মত হয়েছিল মিয়ানমার। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে এখন পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গা ফেরত যায়নি এবং অনুকূল পরিবেশ তৈরির পরিবর্তে রাখাইন রাজ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি চলছে।’

এ প্রসঙ্গে রোহিঙ্গাদের অবস্থান তুলে ধরে ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গারা মূলত তাদের স্বদেশে ফিরছেন না কারণ তারা মিয়ানমার সরকার এবং সেখানে নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিশ্বাস করেন না।

আসিয়ান রিজিওনাল ফোরামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ২৭তম এ বৈঠকে  সভাপতিত্ব করেন ভিয়েতনামের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফাম বিন মিনহ।

এসকে