• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০১৯, ০৮:১৫ পিএম

রয়েল ইউনিভার্সিটিতে জঙ্গিবাদ-বিরোধী সেমিনার অনুষ্ঠিত

রয়েল ইউনিভার্সিটিতে জঙ্গিবাদ-বিরোধী সেমিনার অনুষ্ঠিত
বক্তব্য রাখেন চিত্রনায়ক শাকিল খান -ছবি : জাগরণ

 

‘জাগো তারুণ্য রুখো জঙ্গিবাদ’ স্লোগান ধারণ নিয়ে সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) জঙ্গীবাদ-বিরোধী এক সেমিনারের আয়োজন করা হয় রাজধানী বনানীর রয়েল ইউনিভার্সিটির মিলনায়তনে।

অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক ছিলেন চিত্রনায়ক  শাকিল খান। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্ব তারুণ্যের ওপর নির্ভরশীল। তরুণরাই জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে আবার একটি জাতি ধ্বংসের জন্য তরুণরাই যথেষ্ট। তাই তরুণ প্রজন্মকে সচেতন হওয়া জরুরি। কেননা এই তারুণ্যের শক্তিকে সন্ত্রাসবাদের কাজে লাগিয়ে একটি মহল ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে চায়। তাই কারো ভুল বা প্ররোচণা থেকে সাবধান থাকতে হবে।

তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মকে দেশের ও জনগণের উন্নয়নে সুখি-সমৃদ্ধশালী বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির সঙ্গে। জঙ্গিবাদ মুক্ত, মাদকমুক্ত সুন্দর আগামী গড়তে তরুণরাই হবে আগামী দিনের সৈনিক।

সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের পরিচালক কানতারা খান বলেন, হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর থেকে অধ্যাপক মোহাম্মদ আরাফাতের নির্দেশে নিয়মিতভাবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘জাগো তারুণ্য রুখো জঙ্গিবাদ’ শিরোনামে সেমিনার করে আসছে সুচিন্তা ফাউন্ডেশন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য হাজার কোটি টাকার কাজ নিয়ে এসেছিল জাপানের কিছু প্রতিনিধি। হলি আর্টিজানে তাদের জবাই করে হত্যার পর কতটা কষ্ট করে আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে তা সরকারই ভাল বলতে পারবেন। এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল দেশের শত্রুরা। তারা ইসলামের শত্রু। পরবর্তীতে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির সফলতার পর এখন বিশ্বে বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এই অবস্থান প্রশংসিত হয়েছে। এমনি ইউরোপ-আমেরিকাতে আমাদের দেশের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে যেয়ে সে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জন্য গর্বের।

কানতার বলেন, জয় বাংলা ও বাংলাদেশ একই জিনিস। জয় বাংলা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করলে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়াতে পারবে না। বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে আরও এগিয়ে যাবে নতুন প্রজন্মের হাত ধরে। কেউ বাধা দিতে পারবে না।

সেমিনারে বক্তব্য রাখেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকার উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রফুল্ল চন্দ্র সরকার। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ একটি মতবাদ, এই মতবাদকে রুখতে হলে বা কাউন্টার দিতে পাল্টা মতবাদ লাগবে। হতে হবে সচেতন। সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ জঙ্গিবাদ নির্মূলে বিরাট ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বাংলাদেশ উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় জঙ্গিবাদের মত অপ-শক্তিকে দানা বাঁধতে দেয়া যাবে না।

অনুষ্ঠান শেষে সুচিন্তার গবেষণা সেলের পক্ষ থেকে আশরাফুল আলম শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তরে মাধ্যমে ইসলাম ধর্মে জঙ্গিবাদ সমর্থন, অসমর্থন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। 

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আজ সারাবেলার সম্পাদক জব্বার হোসেন।

এসএমএম