• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯, ০৭:৫২ পিএম

চকবাজারের মসজিদে স্বজনদের আহাজারি

চকবাজারের মসজিদে স্বজনদের আহাজারি
চুড়িহাট্টা জামে মসজিদ-ফাইল ছবি

 

চকবাজার চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের আত্মার শান্তি কামনায় চকবাজার এলাকার বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। এ সময় নিহতের স্বজন এবং সহকর্মীদের কান্না ও আহাজারিতে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে চুড়িহাট্টার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সরকারি হিসেবে ৬৭ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

যে এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার পাশেই চুড়িহাট্টা জামে মসজিদ। প্রতি শুক্রবারই জুমার নামাজে সেখানে বিপুল মুসল্লির সমাগম ঘটে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আজকে মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিলো আরও বেশি। সবার জায়গা হয়নি মসজিদে। পাশের সড়কে বসে নামাজ আদায় করেন অনেকে। অংশ নেন বিশেষ মোনাজাতে।

যখন নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া হচ্ছিল, তখন কান্নার রোল পড়ে যায়। দেখা যায়, কেউ ডুকরে কাঁদছেন, কেউ আহাজারি করছেন। আল্লাহর কাছে শান্তি চেয়ে দোয়া করেছেন শত শত মানুষ। নিহতদের বহুজনকে এরা হয়ত কখনো দেখেননি, কিন্তু এমন মৃত্যু সবাইকে আপনজন বানিয়ে দিয়েছে। অচেনা মানুষদেরও হৃদয় কেঁদেছে পরপারে চলে যাওয়া মানুষগুলোর জন্য।
 
নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় প্রত্যেককে চোখের পানি মুছতে দেখা গেছে। একজন কাঁপা কাঁপা গলায় বলেন, আল্লাহ এক কঠিন অগ্নিপরীক্ষায় পাঠিয়েছে এই দুনিয়ায়। এর থেকে আমাদেরকে শিক্ষা নিতে হবে।

নিহত হামিদুর রহমানের এক স্বজন বলেন, শুধু এই মসজিদ নয় গোটা বাংলাদেশে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হয়েছে।

আরেক মুসল্লি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, এ দুর্ঘটনায় পুরো এলাকায় আজ শোকের মাতম। কিছুদিন আগে যাদের সঙ্গে চলাফেরা করতাম আজকে তার দেহটা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না।

মোনাজাতে মসজিদের ইমাম নিহতদের ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য সবার কাছে অনুরোধ জানান। এসময় মুসল্লি ও নিহতের স্বজনরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আহাজারি করতে থাকেন।

এইচএম/সাইসে