• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯, ০৫:২১ পিএম

ভারতে কাশ্মিরীদের নিরাপত্তা দিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশ

ভারতে কাশ্মিরীদের নিরাপত্তা দিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশ
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট; ফাইল ফটো

 
কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় ভারতের আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের মৃত্যুর ঘটনায় হিংসায় উন্মত্ত হয়ে উঠেছেন ভারতের কয়েকটি রাজ্যের কিছু মানুষ।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সংঘটিত ওই জঙ্গি হামলার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিরীহ কাশ্মিরীদের উপর সংগঠিত আক্রমন নেমে আসছে।

অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত কেন্দ্রীয় সরকার এবং ১০টি রাজ্যের সরকারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই দশ রাজ্যের এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও রয়েছে।

পুলওয়ামার ওই ঘটনায় ৪০ জনের বেশি ভারতীয় জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছে জঙ্গি সংগঠন জইশ -ই-মহম্মদ। তাদের হয়ে কাশ্মিরে বসবাসকারী আদিল নামের এক জঙ্গি সেনা কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায়।

ঘটনার জেরে গত বিশ্বে নিন্দার ঝড় ওঠে। জইশের মদতদাতা পাকিস্তানকে একঘরে করতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত। সেই কাজে তারা অনেকটা সফলও হয়েছে। এই ঘটনার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ লাগবে কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা চলছে। কিন্তু এর সুযোগ নিয়ে একদল উগ্র মানুষ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাশ্মিরীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গও। 

এর প্রেক্ষিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছে,কাশ্মিরীরা যাতে সামাজিক বয়কট বা হেনস্থার শিকার না হন, তা সরকারকে দেখতে হবে. তারিক আদিব নাম এক আইনজীবী মামলাটি করে দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁর আবেদনে মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়ের মন্তব্যও রেখেছিলেন ওই আইনজীবী। কয়েকদিন আগে ওই রাজ্যপাল টুইট করে কাশ্মিরীদের বয়কট করার আহ্বান করেছিলেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ছাড়াও যে ১০টি রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত সেগুলি হলো, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মেঘালয়, ছত্তীসগঢ়,  পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গ।

বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ, উগ্র দেশাত্মবোধের জিগির তুলে বিশ্বহিন্দু পরিষদ, আরএসএস-এর মতো গেরুয়া সংগঠনগুলি এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে। বিরোধীদের বক্তব্য, কাশ্মীর ভারতের অঙ্গরাজ্য হলে সেই রাজ্যের মানুষ ভারতীয়। তাই এ জিনিস চলতে পারে না। এই ঘটনায় বারবার সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। সেখানে কাশ্মীরিদের নিরাপত্তার জন্য কিছু নোডাল অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে। ওই নোডাল অফিসারদের নাম ও ফোন নম্বর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে, যাতে প্রয়োজন পড়লে আক্রান্তরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিরাপত্তা চাইতে পারেন।

মামলার অন্য বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন, কাশ্মিরী এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর কোনও হামলার ঘটনার খবর পেলেই মুখ্যসচিব, ডিজিপি এবং দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।   

আরআই