পুরান ঢাকার চকবাজারের পাঁচটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রাথমিকভাবে কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর থেকে উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক নিথর ঝলসানো দেহ।
বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ৯টায় ব্রিফ করে সাংবাদিকদের মৃতের সংখ্যা ৭০ জন জানান ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মেজর একে এম শাকিল নেওয়াজ (পরিচালক অপারেশন)। পরে মৃতের সংখ্যা আরো ৮ জন বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৭০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আহত অবস্থায় ৪১ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরো দু’এক ঘণ্টা সময় লাগবে। তবে আগুনের ভয়াবহতা নেই। বিভিন্ন জায়গায় পারফিউম, গ্যাস সিলিন্ডার, কেমিকেল থাকায় আগুন জ্বলছে। এগুলো পর্যায়ক্রমে নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে।
বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে চকবাজারের নন্দ কুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানসনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এলাকাবাসী বলছে, ওই ভবনের কারখানা থেকে আগুন ছড়িয়েছে। কারও কারও মতে, বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুন ছড়ায়। ওয়াহিদ ম্যানসনের নিচতলায় প্লাস্টিকের গোডাউন ছিল। ওপরে ছিল পারফিউমের গোডাউন।
এ আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন বলে জানায় ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম। একটার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় মেয়র সাঈদ খোকন সাংবাদিকদের বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে সব কিছু তুলে ধরা হবে। তবে ৪০-৪৫ জনের মতো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
এআই/বিএস