• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯, ১০:০২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯, ১০:০৭ এএম

হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংশোধন করা সময়ের দাবি : আইনমন্ত্রী

হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংশোধন করা সময়ের দাবি : আইনমন্ত্রী
আলোচনাসভায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক -ছবি : জাগরণ

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংশোধন করা এখন সময়ের দাবি। তবে সরকার এটি তাদের উপর চাপিয়ে দেবে না। হিন্দু সম্প্রদায় এগিয়ে এলে সরকার এ বিষয়ে সব ধরণের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার হলে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে আইন সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা’ বিষয়ক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এদেশের সংখ্যা গরিষ্ঠদের দায়িত্ব হল সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করা। আমরা সে কারণেই কিন্তু হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের ব্যাপারে কথা বলি। এটা আমরা বলতাম না যদি নারীরা বঞ্চিত না হতেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি ধর্ম নিরেপেক্ষ দেশ। তাই এই দেশ মুসলমানদের জন্য যেমন হিন্দুদের জন্যও ঠিক তেমন। কোন সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা আইন করে তাদের সংখ্যালঘু হিসেবে পরিচিত করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ হয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই উদ্দেশ্যে আন্দোলন-সংগ্রাম করেননি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যও তা নয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা এমন একটি সমাজ ব্যবস্থা করতে চাই যেখানে মুসলমান, হিন্দু সবাই সমানভাবে থাকতে পারবে এবং সকলেই বাঙালি এবং বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দিবে। মুসলমান, হিন্দু এইভাবে পরিচিত করতে আমরা চাই না।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরে যেতে চায়। বাহাত্তরের মূল সংবিধানে যে ৪ মূলনীতির কথা বলা আছে সেগুলো সুনিশ্চিত করতে চায়। কারণ এগুলো বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া সম্ভব না। এজন্য আমাদের কিছু আইনের সংস্কার দরকার। পেনাল কোড প্রায় ১৬০ বছর আগের। সময়ের প্রয়োজনে এর কিছু ধারার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। সরকার বসে নেই। এ বিষয়ে কাজ করছে।

তিনি বলেন, আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছ। আগামী ডিসেম্বর মাসে এটি সংসদে পাঠিয়ে জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় শীতকালীন অধিবেশনে পাসের লক্ষে সরকার কাজ করছে। আইন কমিশন থেকে পাঠানো সাক্ষী সুরক্ষা আইন পরীক্ষা করা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনেরও কিছু সংশোধন করা চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। 

বিচারপতি শামসুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত প্রমুখ।

 

টিএইচ/একেএস
 

আরও পড়ুন