• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২০, ০৪:৫৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৯, ২০২০, ০৪:৫৭ পিএম

আরও ১ ইউপি চেয়ারম্যান ও ৩ সদস্য বরখাস্ত

আরও  ১ ইউপি চেয়ারম্যান ও ৩ সদস্য বরখাস্ত

সরকারি ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে আরও একজন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ৩ জন ইউপি সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

বুধবার (২৯ এপ্রিল) কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী এবং নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার চর-আড়ালিয়া ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডের বাচ্চু মিয়া, কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউপির ৭ নং ওয়ার্ডের শরিফুল ইসলাম এবং দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের হাবিবুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

এ নিয়ে মোট ৩৯ জন জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্ত করা হলো। তাদের মধ্যে ১৬ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ২২ জন ইউপি সদস্য এবং একজন জেলা পরিষদ সদস্য।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, কক্সবাজার জেলার টৈটং ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী সরকারি ত্রাণের চাল আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আইনানুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন।

করেনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের কারণে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতারের পর জেলহাজতে থাকা নরসিংদী জেলার চর-আড়ালিয়া ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়াকে অপসারণের সুপারিশ করেছে নরসিংদীর জেলা প্রশাসক।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি ত্রাণ লুটের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন কুষ্টিয়া জেলার নন্দলালপুর ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম এবং সরকারি ত্রাণ ভুয়া মাস্টাররোলে বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় দৌলতপুর ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানকে স্বীয় পদ হতে অপসারণের সুপারিশ করেছেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক।

উল্লেখিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদেরকে তাদের অপরাধে ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।

একইসময়ে পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশের মাধ্যমে তাদের চূড়ান্তভাবে পদ থেকে কেন অপসারণ করা হবে না তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।

এসএমএম

আরও পড়ুন