• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০১৯, ০১:১৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৬, ২০১৯, ০১:১৪ পিএম

নেপালে প্রাকৃতিক বিপর্যয়

বন্যা-ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯০

বন্যা-ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯০

নেপালে অব্যাহত ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৯০ জনে। এতে আরও কমপক্ষে শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে রবিবার (১৪ জুলাই) পর্যন্ত অর্ধশতাধিক লোকের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। তাছাড়া এখনো প্রায় অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) নেপালি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিবৃতির বরাতে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গত বুধবার (১০ জুলাই) স্থানীয় সময় দিবাগত রাত থেকে রাজধানী কাঠমান্ডুসহ এর আশেপাশের বেশিরভাগ অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। ফলে সেখানকার নদীগুলোর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলায় বন্যা ও ভূমিধসের দেখা দিয়েছে। টানা বৃষ্টিপাত আরও কয়েকদিন হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।

কর্তৃপক্ষের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম 'এনডিটিভি'র দাবি, গত শুক্রবার (১২ জুলাই) রাজধানী কাঠমান্ডুর একটি বাড়িতে দেয়াল ধসের ঘটনা ঘটেছিল। এতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। তাছাড়া বন্যায় আটকে পড়া লোকদের উদ্ধারে সেনা, পুলিশ ও বিভিন্ন উদ্ধারকারী সংস্থা অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে।

এ দিকে উদ্ধারকারী দলের এক মুখপাত্র বলেন, 'দেশের ৭৭টি জেলার ভেতর এখন পর্যন্ত ২৫টি জেলা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ললিতপুর, কোটাঙ, কেভরি, ভোজপুর, মাকানপুরের মতো অঞ্চলগুলো। দুর্গত এলাকাগুলো থেকে এরই মধ্যে অনেক লোককে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।'

অপর দিকে দেশটির স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশটির সামরিক মুখপাত্র বিগিয়ান দেব পাণ্ডে বলেছেন, 'আমরা এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক লোককে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের বর্তমানে বিভিন্ন অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে রাখা হয়েছে। উদ্ধারকৃত এসব লোকদের মধ্যে যারা আহত কিংবা অসুস্থ তাদের এরই মধ্যে চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া এখনো প্রায় ৩৪ জুন নিখোঁজ রয়েছেন। যাদের সন্ধানে আমরা বিভিন্ন এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছি।'

চলতি সপ্তাহ জুড়ে দেশটিতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে বলে এরই মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবার মজুদের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন