লিবিয়ায় চলমান হামলায় হাফতার বাহিনীকে সাহায্য করছে মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ফ্রান্স। শনিবার ( ২০ জুলাই) লিবিয়ার দ্য স্টেট অব হাই কাউন্সিলের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
২০১১ সালে লিবিয়ায় গাদ্দাফি শাসনের পতনের পর দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শুরু হয় নানা সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের সমর্থনে ২০১৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর সরকার গঠন করা হয় লিবিয়াতে। কিন্তু ওই সরকারকে অসমর্থন করে জেনারেল খলিফা হাফতার। রাজধানী ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণ নিতে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হাফতারের সামরিক বাহিনী। আর হাফতার বাহিনীকে এই হামলার রসদের যোগান দিচ্ছে ফ্রান্স, মিশর এবং আরব আমিরাত।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফয়জ-আল-স্যারি বলেন, ত্রিপোলির দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আমি ভীষণ উদ্বিগ্ন। বিদ্রোহীরা জনসাধারণকে স্থানচ্যুত করার জন্যই এই সঙ্কটটি সৃষ্টি করেছে। যা কখনোই মেনে নেয়া হবে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১১ সালে মুহাম্মদ গাদ্দাফির মৃত্যুর পর থেকেই লিবিয়া দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে যায়। লিবিয়ার পূর্ব অংশের দখল নেয় সংসদ দ্বারা পরিচালিত লিবিয়ার জাতীয় সেনাদল ও অন্য দিকে ইউএন বাহিনীর মদতে তৈরি সরকার লিবিয়ার পশ্চিমের ত্রিপলির দখল নেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশ করা তথ্য অনুসারে লিবিয়ার গৃহযুদ্ধের জেরে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার মানুষ ঘর ছাড়া হয়েছেন এবং নিহত হয়েছে সাড়ে চার শতাধিক মানুষ।
সূত্র : আরব রিউজ
এসজেড