প্রায় দুইমাসের ভোট আনুষ্ঠানিতা শেষে ঘোষণা করা হয়েছে ব্রিটিশ নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম।  দেশটির বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্টকে টপকে দলীয় সদস্য এবং পার্টির ১ লাখ ৬০ হাজার নিবন্ধিত সমর্থকের ভোটে কনজারভেটিভ দলে নেতা একং দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলেন জনসন।

নিজ দলীয় সদস্যদের ভোটেতো বটেই, পার্টির সমর্থকদের ভোটেও নিরঙ্কুশ আধিপত্য দেখিয়েছেন জনসন। প্রতিদ্বন্দী হান্টের ৪৬,৬৫৬ ভোটের বিপরীতে তিনি পেয়েছেন ৯২,১৫৩ ভোট। ভোট গণনা শেষ হওয়ার পরপরই মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে বরিস জনসনকে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করা হয়। বুধবার (২৪ জুলাই) আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি ব্রিটেন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন। একইসঙ্গে এ দিন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের পদত্যাগপত্র দেবেন থেরেসা মে। নতুন প্রধানমন্ত্রীও রানির সঙ্গে দেখা করবেন এবং এরপর তিনিও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ও দপ্তর ‘১০ ডাউনিং স্ট্রিট’-এ প্রথম বক্তব্য দেবেন।

ব্রিটেনের চমকপ্রদ এবং সুপরিচিত একজন ব্যক্তিত্ব বরিস জনসন। তিনি একসময় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। একইসঙ্গে লন্ডনের মেয়রও ছিলেন। এছাড়া বরিস জনসন কনজারভেটিভ নেতা বা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে এর আগেও অংশ নিয়েছিলেন। সেসময় জিততে পারেননি দেশটির বর্তমান পরিবেশমন্ত্রী এবং ব্রেক্সিটপন্থী নেতা মাইকেল গোভ তার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছিলেন বলে। তবে এবার সব বাধা তিনি ভেঙে দিয়েছেন নিজের যোগ্যতা দিয়ে।

বিজয়ার্তা পাওয়ার পর জনসন বলেছেন তার সামনে কাজ তিনটি, “বেক্সিট নিশ্চিত করা, দেশকে একত্রীভূত করা এবং বিরোধীয় দলীয় নেতা জেরেমি করবিনকে ‘পরাজিত’ করা”।

সূত্র : বিবিসি

এসজেড