• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০১৯, ০৮:২১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৪, ২০১৯, ০৮:৪১ পিএম

তুর্কি মুসলিম পরিবারের উত্তরসূরি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস!

তুর্কি মুসলিম পরিবারের উত্তরসূরি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস!

ক্ষমতাসীন হলেন ডাউনিং স্ট্রিটের 'নাম্বার টেন', নব নির্বাচিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও টরিপার্টির নতুন নেতা বরিস জনসন। আলোচিত ব্রেক্সিট ইস্যুতে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থেরেসা মের বিদায়ের মধ্যদিয়ে ক্ষমতায় এলেন ক্ষমতাসীন টরি পার্টির নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস।

এরইমধ্যে ব্রিটিশ এই নতুন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। আর সেখানেই জানা গেল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য, বরিস জনসন হচ্ছেন বিখ্যাত এক তুর্কী মুসলিম পরিবারের উত্তরসূরী। পৈত্রিকসূত্রে তিনি তুরস্কের ঐতিহাসিক ওটাম্যান সাম্রাজ্যের প্রখ্যাত সাংবাদিক এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব আলী কামালের (তুর্কী উচ্চারন-কেমাল) চতুর্থ বংশধর। কামাল হচ্ছেন বরিসের প্রপিতামহ বা দাদার বাবা। অর্থাৎ স্বনামধন্য একটি মুসলিম পরিবারের উত্তরসূরী বোরিস জনসন এখন ব্রিটিনের ১০ম প্রধানমন্ত্রী।

 

পেশাগত জীবনে নিজের এই পূর্বপুরুষের সঙ্গে ব্যাপক মিল রয়েছে বরিসের। তার প্রপিতামহ আলী কামাল ছিলেন ওটাম্যান সাম্রাজ্যের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব এবং স্বনামধন্য একজন উদারপন্থি সাংবাদিক। পরবর্তীতে তিনি ওটাম্যান সুলতানের গ্র্যান্ড ভিজার বা প্রধানমন্ত্রী- দামাত ফরিদ পাশার মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন।



এদিকে দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত থাকার পর ব্রিটেনের রাজনীতিতে নাম লেখান বরিস। রাজনৈতিক জীবনের নানা উত্থান-পতন পেরিয়ে প্রথমে লন্ডনের মেয়র এবং পরবর্তীতে মের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন শেষে এবার ১০ম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতাসীন হলেন তিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছর আগেই ঘনিষ্টজনদের বিশ্বাসঘাতকতায় নিজের রাজনৈতিক জীবনের ইতি টানতে যাচ্ছিলেন মে সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দেশটির বর্তমান এই প্রধানমন্ত্রী।

গত মঙ্গলবার ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি তাদের নতুন প্রধান হিসেবে ৫৫ বছর বয়সী সাবেক এ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করে।

ওটাম্যান সাম্রাজ্যের প্রখ্যাত সাংবাদিক, বোরিস জনসনের প্রপিতামহ আলী কামাল- ছবি: ইন্টারনেট 

ব্রেক্সিট নিয়ে বেহাল দশায় জুনে থেরেসা মে ক্ষমতাসীন টোরি দলের নেতৃত্ব ও প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর কয়েক সপ্তাহের নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতিটি কঠিন পর্যায় সফলভাবে পাড়ি দিয়ে শেষে পর্যন্ত ‘কট্টর ব্রেক্সিটপন্থি’ জনসন মের উত্তরসূরি হিসেবে স্থলাভিষিক্ত হলেন।

চূড়ান্ত পর্যায়ে জনসনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্টের সঙ্গে। তবে দলের নিবন্ধিত কর্মী-সমর্থকরা শেষ পর্যন্ত লন্ডনের এই সাবেক মেয়রকেই বেছে নিয়েছেন।

এর আগে ব্রিটেনের বিখ্যাত বার্তা সংস্থা ডেইলি টেলিগ্রাফে জনসন ইউরোপ বিষয়ক সংবাদদাতা ছিলেন ৫ বছর। পরে ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত তিনি একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া.কম/দ্য গার্ডিয়ান

আরও পড়ুন