• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০১৯, ০২:০৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৭, ২০১৯, ০২:০৯ পিএম

কাশ্মীরের ৫০,০০০ ল্যান্ডলাইন চালু, আংশিকভাবে সচল ইন্টারনেট

কাশ্মীরের ৫০,০০০ ল্যান্ডলাইন চালু, আংশিকভাবে সচল ইন্টারনেট
পর্যায়ক্রমে স্বাভাবিক হয়ে আসছে কাশ্মীর পরিস্থিতি- ছবি: এনডিটিভি

অবরুদ্ধ হবার দুই সপ্তাহ পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে ভারত অধ্যুষিত জম্মু ও কাশ্মীর। জম্মু অঞ্চলের কারফিউ প্রত্যাহারের পর এবার পর্যায়ক্রমে স্বাভাবিক হয়ে আসছে কাশ্মীর পরিস্থিতিও।

শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালে কাশ্মীর উপত্যকায় ৫০ হাজারেরও বেশি ল্যান্ডলাইন সংযোগসহ  পুনরুদ্ধার করা হয়েছে বলে সেখানকার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানায় ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই।

জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার অবলুপ্তির বিষয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের ঐতিহাসিক পদক্ষেপের আগেই জম্মু ও কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, তার প্রায় দুই সপ্তাহ পরে কাশ্মীরের ফোন লাইনগুলো আংশিকভাবে চালু হল। এর আগে কিছুটা স্বাভাবিক হয় জম্মুর পরিস্থিতি। কাশ্মীরে প্রায় শতাধিক টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মধ্যে সতেরোটি চালু করা হয়েছে শনিবার। 

মধ্য কাশ্মীরের বদগাম, সোনামার্গ এবং মণিগাম অঞ্চলে ল্যান্ডলাইন পরিষেবাগুলো পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। উত্তর কাশ্মীরের গুরেজ, টাঙ্গমার্গ, উরি কেরান কর্নাহ এবং তাংধর অঞ্চলে পরিষেবাগুলি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। শ্রীনগরের, নাগরিকদের বসবাসের স্থান, ক্যান্টনমেন্ট এলাকা এবং বিমানবন্দর এলাকায় ল্যান্ডলাইনগুলো ফের চালু হয়েছে।

ইতোমধ্যে জম্মু অঞ্চলের পাঁচটি জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। এই অঞ্চলের জম্মু, রিয়াসি, সাম্বা, কাঠুয়া এবং উধমপুর জেলাগুলোতে টু জি মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরে এসেছে।

বিধিনিষেধ কমিয়ে আনার জন্য প্রশাসনের নেয়া পদক্ষেপগুলোর ফলে রাজ্যের সরকারি দপ্তরগুলো ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে। শুক্রবার মুখ্য সচিব বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহ থেকেই সেখানকার স্কুলগুলো 'অঞ্চল অনুযায়ী' চালু হবে এবং পর্যায়ক্রমে টেলিফোন পরিষেবাও পুনরুদ্ধার করা হবে। শুক্রবার দেশটির সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্র জানায় যে প্রতিদিন জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

এর আগে নিরাপত্তা বজায় রাখার স্বার্থে কাশ্মীর উপত্যকায় ফোন পরিষেবা এবং ইন্টারনেট সংযোগগুলি স্থগিত করা হয় এবং কারফিউ-এর মতো বিধিনিষেধ চালু করা হয়। কাশ্মীর উপত্যকার প্রায় ৪০০ জন রাজনৈতিক নেতা এখনও আটক রয়েছেন। পাশাপাশি দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী- মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাকে গ্রেফতারও করা হয়।

আরও পড়ুন