• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০১৯, ১০:৩৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৪, ২০১৯, ০৫:২৬ পিএম

ডিসি সম্মেলন  

স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী 

স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী 
ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -ছবি : ফোকাস বাংলা

বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এটা অব্যাহত রাখতে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে স্থানীয় সরকার প্রশাসনকে আরো শক্তিশালী করা দরকার। সরকার এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। গ্রাম থেকে মানুষের শহরে আসা যেন বন্ধ হয়, সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বাজেট দিয়েছি। দেশের মানুষকে ঘিরেই আমাদের এই উন্নয়নের পরিকল্পনা। 

রোববার (১৪ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিসি সম্মেলন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -ছবি : ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের জনসংখ্যাকে আমি বোঝা মনে করি না। বৃহৎ এই জনসংখ্যাকে উন্নয়ন কাজে লাগাতে হবে। 

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উৎযাপনে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করে বলেছেন, আমরা ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত এই জন্ম শতবার্ষিকী উৎযাপন করার সময় ঘোষণা করেছি। এই উৎযাপনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিতে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা কামনা করে গুরুত্বপূর্ণ ৩০টি নির্দেশনা দেন।

এক. অন্যতমই ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উৎযাপনে সক্রিয় সহযোগিতা করা। 
দুই.  ২০২১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যতা কমিয়ে আনা।
তিন. সেবা পেতে আসা সাধারণ মানুষ যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হয়, সে দিকে লক্ষ রাখা।
চার. জঙ্গিবাদ নির্মূল করা। এতে আরো জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
পাঁচ. মাদক সম্পূর্ণ নির্মূল করা। এ বিষয়ে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি অনুস্মরণ করা। 
ছয়. গ্রমীণ অবকাঠামোগত উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়া।

সাত. তথ্য ও যোগাযোগ ও প্রযুক্তি ব্যবহারে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। এর সুফল পৌঁছে দিতে হবে।
আট. তৃণমূল পর্যায়ে সকলকে উন্নয়ন সম্পৃক্ত করতে হবে। 
নয়.  নারী শিক্ষার উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে।
দশ.  ভূমি ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন করতে হবে। মামলার জট কমিয়ে আনতে হবে।
এগারো. কৃষির উন্নয়নে/উৎপাদনে সহযোগিতা প্রসারিত করতে হবে।
বারো. ভেজাল খাদ্যের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
তেরো. কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রমকে জোরদার করতে হবে।
চৌদ্দ. পরিবেশ রক্ষায় আইন-বিধিবিধানে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
পনেরো. প্রাকৃতিক বিপর্যায়ে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 
ষোল. আদালতের মামলার জট কমাতে উদ্যোগ নিতে হবে।

এছাড়াও নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে এবং নারীর প্রতি সহিংসতা কমাতে এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর হতে জেলা প্রশাসকদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। 

এমএএম/টিএফ

আরও পড়ুন