• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০১৯, ০২:২৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৪, ২০১৯, ০৫:১৪ পিএম

ডিসিদের ৩১ নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

ডিসিদের ৩১ নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -ছবি : ফোকাস বাংলা

পাঁচ দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১৪ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী ডিসিদের ৩১ দফা নির্দেশনা দেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। জেলা প্রশাসকদের পক্ষে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম ও শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

ডিসিদের যেসব নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী:

১. বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত বছরব্যাপী মুজিববর্ষ পালনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 
২. ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে হবে। 
৩. সরকারি সেবা গ্রহণে সাধারণ মানুষ যাতে কোনোভাবেই হয়রানি বা বঞ্চনার শিকার না হন, সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। 
মাদক নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিতে হবে।
৪. জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতা দূর করে সর্বক্ষেত্রে শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে আরও সতর্কতার সঙ্গে এবং কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করেত হবে।
৫. যুব সমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করতে মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেত হবে।
৬. গ্রামীণ অবকাঠামো উয়ন্নয়, সম্ভাবনাময় স্থানীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্যমোচনে আপনাদের ব্রতী হতে হবে।
৭. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উয়ন্নন ও বিকাশে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির যোগাযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
৮. জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
৯. নারী শিক্ষার হার বাড়াতে হবে।
১০. ভূমি প্রশাসনের স্বচ্ছতা আনতে এটিকে ডিজিটালাইজড করতে হবে।
১১. কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে।
১২. ভেজাল খাদ্য রোধ করতে হবে।
১৩. দরিদ্রদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। ডাক্তারদের উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকতে হবে। না থাকলে চাকরি থেকে বের করে দিতে হবে।
১৪. পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।
১৫. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নীতিমালা-২০১২ বাস্তবায়ন করতে উদ্যোগ নিতে হবে।
১৬. আদালতের মামলাজট কমাতে গ্রাম্য সালিশ-বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসার উদ্যোগ নিতে হবে।
১৭. জেলার কমিটিগুলোকে সক্রিয় করতে হবে।
১৮. বিভিন্ন সেবাসপ্তাহ যথাযথ মর্যাদায় পালন করতে হবে।
১৯. শিল্পের পরিবেশ বজায় রাখতে পরিবেশ উন্নয়ন করতে হবে, পাশাপাশি চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
২০. বাজার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। কৃত্রিম সংকট ঠেকাতে হবে।
২১. নারী নির্যাতন, সহিংসতা, নানা ধরনের ইভটিজিং বন্ধ করতে হবে।
২২. নারীর প্রতি সহিংসতা ঠেকাতে হবে।
২৩. শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিতে উদ্যোগ নিতে হবে।
২৪. প্রতিবন্ধীদের সেবা নিশ্চিত করতে নানামুখী উদ্যোগ নিতে হবে।
২৫. পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি বজায় রেখে উন্নয়ন করতে হবে।
২৬. গ্রাম পর্যায় থেকে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিতে হবে।
২৭. জেলার আকার বিবেচনায় রেখে উন্নয়নের পরিকল্পনা নিতে হবে।
২৮. স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে হবে।
২৯. চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। 
৩০. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, হিজড়া, বেদে ও প্রতিবন্ধিদের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। জলাধার সংরক্ষণে খাল খনন, পুকুর খনন করতে হবে। পরিকল্পিত সড়ক, নগরায়ন ও বনায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
৩১. গৃহহারা, ভূমিহীন ও ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

এইচএস/টিএফ

আরও পড়ুন