• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০১৯, ০৫:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৮, ২০১৯, ০৫:৪৯ পিএম

ঢাবি উপাচার্যের আশ্বাসে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত

ঢাবি উপাচার্যের আশ্বাসে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত
ঢাবির অধিভুক্ত সরকারি ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ - ছবি : জাগরণ

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের আশ্বাসে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠককালে উপাচার্য তাদের আশ্বস্ত করলে শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলন স্থগিত করেন। তবে আশ্বাসের প্রতিফলন না ঘটলে তারা আবারও আন্দোলনে যাবেন বলে ঘোষণা দেয়।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সেশনজট নিরসনে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ, ক্রাস প্রোগ্রাম চালুসহ পাঁচ দফা দাবিতে সকাল ১০টায় ঢাকা কলেজের সামন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে তারা নীলক্ষেতে অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে গিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভের একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দেয়া হয়। পরে তাদের প্রতিনিধিদল উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে। এ সময় উপাচার্য তাদের আশ্বস্ত করলে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।

উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলের বৈঠক -ছবি : জাগরণ

বৈঠকে উপাচার্য আখতারুজ্জামান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ৯০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশসহ ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এটি কার্যকর হতে ৬ মাস লাগবে। এছাড়াও যেসব শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন, তারা নিজ কলেজে এ বিষয়ে আবেদন করতে পারবেন।

৭ কলেজের জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে বলে উল্লেখ করে তিনি তাদের বলেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কলেজগুলোর শিক্ষকরাই প্রণয়ন করবেন, তাদের একাডেমিক সনদেও কোনো পরিবর্তন আনা হবে না। কলেজগুলোর জন্য শিগগিরই একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হবে।

এ বিষয়ে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বকর বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা নিজ নিজ কলেজে যোগাযোগ করবেন। তাদের যে আশ্বাস দেয়া হয়েছে যদি তার প্রতিফলন দেখা না ঘটে, তারা আবারও আন্দোলনে যাবেন। সেই পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ৭টি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করে সরকার। কলেজগুলো হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ,সরকারি তিতুমীর কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ ও মিরপুর বাঙলা কলেজ। এরপর থেকে সেশনজট নিরসনসহ বিভিন্ন দাবিতে কয়েক দফায় আন্দোলনে নামেন কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ সোমবার (৮ জুলাই) সকালে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন তারা।

তাদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো- ১. একসঙ্গে পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ত্রুটিমুক্ত ফল প্রকাশসহ একই বর্ষের সব বিভাগের ফল একত্রে প্রকাশ ২. গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ প্রকাশ ও খাতা পুনর্মূল্যায়ন, ৩. সাত কলেজের জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ ৪. প্রতিটি বিভাগে মাসে দুই দিন করে অধিভুক্ত সাত কলেজে মোট ১৪ দিন ঢাবি শিক্ষকদের ক্লাস নেওয়া এবং ৫. সেশনজট নিরসনে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশসহ ক্রাস প্রোগ্রাম চালু করা।


এমআইআর/একেএস

আরও পড়ুন