• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৯, ০৩:০৯ পিএম

জনগণ শান্তি-স্থিতিশীলতার পক্ষে গণরায় দিয়েছে : ইনু 

জনগণ শান্তি-স্থিতিশীলতার পক্ষে গণরায় দিয়েছে : ইনু 
সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু-ফাইল ছবি


জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল জনগণের কাছে প্রত্যাশিত ছিল। জনগণ শান্তি-স্থিতিশীলতা-উন্নয়নের পক্ষে গণরায় দিয়েছে। দেশে-বিদেশে সব মহল নির্বাচনের ফলাফল গ্রহণ করেছে। মীমাংসিত ফলাফল যারা অমীমাংসিত করতে চাইছে তারা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত-অশান্তি-অস্থিতিশীলতার রাজনীতির বীজ নতুন করে বপন করছে।

শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে দলের দুই দিনের জাতীয় কমিটির সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।  

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য শিরীন আখতার, কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট রবিউল আলম, অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, মীর হোসাইন আখতার, আবদুল হাই তালুকদার, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান শওকত, ফজলুর রহমান বাবুল, নুরুল আখতার, নাদের চৌধুরী, সাখাওয়াত হোসেন রাঙ্গা, মজিবুল হক বকু, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, নইমুল আহসান জুয়েল, শওকত রায়হান, রোকনুজ্জামান রোকনসহ আরও অনেকে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকারের প্রতি জাসদের পক্ষ থেকে পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করে হাসানুল হক ইনু বলেন, এ সরকারের চ্যালেঞ্জ শান্তি-উন্নয়ন-সমৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখা। একই সঙ্গে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে ও বৈষম্যের অবসান করতে সংবিধানের নির্দেশ অনুযায়ী দেশের অর্থনীতি ঢেলে সাজিয়ে সমাজতন্ত্রমুখী করা, দুর্নীতির অবসান করে সুশাসন ও আইনের শাসন নিশ্চিত করা, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে স্বাধীন ও কার্যকর করাসহ রাষ্ট্র কাঠামোর অন্যায্যতা দূর করতে রাষ্ট্র-প্রশাসন ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক রূপান্তর করা, রাষ্ট্র-সংবিধান-শিক্ষা-সংস্কৃতি-সমাজ থেকে সাম্প্রদায়িকতার মূলোৎপাটনে ঘরে-বাইরে সংগ্রাম জোরদার করা।

ইনু বলেন, নির্বাচন-রাজনীতির মাঠে পরাজিত জামাত বিএনপি ঐক্যফ্রন্ট তথা পাকিস্তানপন্থিরা কোনও ফাঁক-ফোকর গলে পুনরুত্থানের কোনো সুযোগ যেনো না পায় তার জন্য সরকার, ১৪ দল ও সকল দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক শক্তিকে সতর্ক-সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

জামাত-বিএনপি-পাকিস্তানপন্থিরা নির্বাচন ও রাজনীতির মাঠে পরাজিত হলেও তাদের পুনরুত্থান প্রতিরোধ এবং দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাষ্ট্র-সমাজকে ঢেলে সাজাতে ১৪ দলীয় জোটসহ দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তির কার্যকর রাজনৈতিক ঐক্যের প্রয়োজন ও অপরিহার্যতা বিদ্যমান রয়েছে বলে মন্তব্য করেন  এই সাবেক তথ্যমন্ত্রী।  

জাসদ নেতা ইনু বলেন, ১৪ দলের কোনো শরিক দলের ১৪ দল নিয়ে বিভ্রান্তি বা ভিন্ন বক্তব্য থাকলে সেই দলকেই তাদের অবস্থান সুনির্দিষ্টভাবে প্রকাশ করতে হবে। তবে জাসদ ১৪ দলকে ১৪ দলের ঘোষিত ২৩ দফার ভিত্তিতে এগিয়ে নিতে বদ্ধ-পরিকর। ১৪ দল ও মহাজোট নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জোটগতভাবেই মোকাবেলা করে বিজয় অর্জন করেছে। জনগণ ১৪ দল ও মহাজোটকে সরকার গঠন ও দেশ পরিচালনায় নেতৃত্ব দেয়ার জন্য গণরায় দিয়েছে। সুতরাং ১৪ দলের বা মহাজোটের কোনো শরিক সংসদে সরকারের বিরুদ্ধে সংসদীয় অবস্থান বা রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করবে কী-না, সেটা সেই দলের নিজস্ব রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। 

ইনু বলেন, ফরমায়েশি বিরোধী দল গঠন সংসদকে কার্যকর করবে না বরং সংসদ সদস্যদের স্বাধীন প্রাণবন্ত ভূমিকাই সংসদকে কার্যকর করবে। 

তিনি আরও বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জামাত-বিএনপি দেশ বিরোধী রাজনীতি প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। বিএনপি বগলে জামাতকে রেখে কখনই গণতন্ত্রের ময়ূর হতে পারবে না, গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে না বরং জঙ্গিবাদ-সাম্প্রদায়িকতার ভাগারের কাকই থাকবে। 

দুই দিনের এ সভা আজ রাত ৮ টা পর্যন্ত চলে কাল শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত মুলতবি করা হবে। দ্বিতীয় ও সমাপনি দিন শনিবার সকাল ১০ টায় সভা শুরু হয়ে রাত ৮টায় শেষ হবে। সভায় জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ, সকল জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ অংশ নিচ্ছেন।

জাহো/এসএমএম