• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০১৯, ০৮:০১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৭, ২০১৯, ০৮:০১ পিএম

‘দেশীয় দুগ্ধশিল্প বিকশিত করা হোক’

‘দেশীয় দুগ্ধশিল্প বিকশিত করা হোক’
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন অধ্যাপক আ ব ম ফারুক-ছবি : জাগরণ

পাস্তুরিত দুধ নিয়ে গবেষণা করা অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেছেন, আমরা কোনও ব্র্যান্ড বা কোম্পানির বিরুদ্ধে নই। আমরা চাই দেশীয় দুগ্ধশিল্প বিকশিত হোক। বিদেশি দুধের বাজার তৈরি হোক এটা আমরা চাই না। রাতারাতি আমাদের বিদেশি এজেন্ট বানানো যাবে না।

বুধবার (১৭ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘ঢাবি অধ্যাপকের পাস্তুরিত দুধ নিয়ে গবেষণা : জনস্বার্থে করণীয়’ শীর্ষক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় বক্তারা বলেন, বিকাশমান শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখেতে বিদেশি দুধ নয়, দেশি দুধই নিরাপদ করতে হবে। আর সেজন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য দুধের নমুনা সংগ্রহে দুর্নীতিমুক্ত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট, জনউদ্যোগ, বিসিএইচআরডি, পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চ, গ্রীনফোর্স, সুবন্ধনসহ বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। 

‘ঢাবি অধ্যাপকের পাস্তুরিত দুধ নিয়ে গবেষণা : জনস্বার্থে করণীয়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ডা. লেলিন চৌধুরী।

পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন- ডক্টরস ফর হেলথ্ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি অধ্যাপক আবু সাঈদ, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী, জনউদ্যোগের সমন্বয়ক তারিক হোসেন, বিসিএইচআরডি এর সভাপতি মাহাবুবুল হক, গ্রীনফোর্সের সমন্বয়ক মেজবাহ্ উদ্দিন সুমন ছাড়াও শেখ ফরিদ, রুনু আলী, প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, হাইকোর্ট কর্তৃক নির্দিষ্ট করে দেয়া ল্যাবরেটরিতে সরবরাহ করবার জন্য নমুনা সংগ্রহ যেন সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুযায়ী হয়। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, নমুনা সরবরাহ করার ক্ষেত্রে দুর্নীতি হতে পারে। আর খোলা বাজার থেকে আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে নমুনা নিতে হবে। কোনমতেই ঘোষিত পূর্বনির্ধারিত স্থান থেকে সংগৃহীত অথবা কোম্পানির সরবরাহ করা নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা চলবে না। নমুনা সংগ্রহের সময় কয়েক প্রস্থ নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। আদালত কর্তৃক নির্দিষ্ট ল্যাবে এক প্রস্থ নমুনা পাঠাতে হবে। আরেক প্রস্থ নমুনা দেশের বাইরে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা স্বীকৃত রেফারেন্স ল্যাবে পাঠাতে হবে। তাতে করে জনমনে তৈরি হওয়া আশঙ্কা ও আতঙ্ক দূর হবে।

টিএস/এসএমএম

আরও পড়ুন