• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০১৯, ০৭:১৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১০, ২০১৯, ০১:২১ এএম

‘বিএনপিতে একে অপরের প্রতি প্রচণ্ড অবিশ্বাস ’

‘বিএনপিতে একে অপরের প্রতি প্রচণ্ড অবিশ্বাস ’
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ- ছবি: জাগরণ

 

বিএনপির নেতৃত্বে একে অপরের প্রতি প্রচণ্ড অবিশ্বাস বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণ করতে করতেই ইতিমধ্যে ১০ বছর চলে গেছে। কৌশল নির্ধারণ করতে আর কত দিন লাগে এটা হলো দেখার বিষয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় নয় বরং আইন ও আদালতকে সমুন্নত রাখার স্বার্থেই ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।     

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।  

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি কাগজে দেখেছি বিএনপি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষেত্রে যৌথ ভাবে ৫ জন নেতাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।  অনেক সিনিয়র নেতার নাম নেই।  এটা মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয় বিএনপির নেতৃত্বের  মধ্যে অনেক সন্দেহ,  অবিশ্বাস বিরাজ করছে। সেটারই বহি:প্রকাশ হচ্ছে মহাসচিবের কৃতিত্ব খর্ব করা। মহাসচিবের সাথে আরও কয়েক জনকে জুড়ে দেয়া হয়েছে। আমি কাগজের আরও দেখলাম ঐক্য ফ্রন্টের নেতৃত্বে মহাসচিব একা যেতে পারবে না। একে অপরের প্রতি প্রচন্ড অবিশ্বাস থেকেই এ সিদ্ধান্ত।

‘তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয় সে জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে বলা হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমানের যদি সৎ সাহস থাকে তাহলে তো তিনি নিজেই এসে আদালত আত্মসমর্পণ করবেন। কিন্তু তার সেই সাহস নেই।   

মন্ত্রী বলেন, তারেক রহমানের যে দুর্নীতি এটি বাংলাদেশ সরকার উত্থাপন করে নি। এটি মার্কিন সরকারের অভিযোগ ছিল। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, যে মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত, শাস্তিপ্রাপ্ত এটি এখন প্রমাণিত। বিএনপিরই উচিত ছিল তাকে নেতৃত্ব থেকে বাদ দাওয়া কিন্তু বিএনপি সেটি করে নি।
 
বিএনপি হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে রাজনৈতিক সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছে দাবি করে তিনি বলেন, তাকে (তারেক) তারা সব ধরনের রাজনৈতিক সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছে। যা বিএনপির রাজনৈতিক দৈন্যতারই বহি:প্রকাশ। বিএনপি গ্লানিমুক্ত হতে চায় না বিধায় অপরাজনীতি থেকে তারা বেরিয়ে আসছে না। 

‘আওয়ামী লীগ সরকার নয় বিএনপিই দেশে ভয়ের রাজনীতি কায়েম করেছিল’ এমন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব একটি কথা বলেছেন, দেশে নাকি ভয়ের রাজ্যত্ব কায়েম করা হয়েছে। কিন্তু দেশে ভয়ের রাজত্ব কারা কায়েম করতে চেয়েছে, এটি বাংলাদেশের মানুষ ভাল করেই জানে। বিএনপি ১৩/১৫ সালে দেশের মানুষের উপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে। হাজার হাজার মানুষকে আগুনে ঝলসে দিয়েছে। রাজনীতিতে এবং দেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে বিএনপি। যেটি কখনও আমাদের রাজনীতিতে ছিল না। বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং সমস্ত বাক স্বাধীনতা আছে বিধায় মির্জা ফখরুল সাহেব এবং তাদের অন্যান্য নেতারা সকাল বিকাল দুই বেলা সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন। অথচ তারা বলেন, তাদের কথা বলার অধিকার নেই, যেটি অত্যন্ত হাস্যকর। 

এএইচএস/টিএফ