• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২, ২০১৯, ০৩:১৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২, ২০১৯, ০৩:১৫ পিএম

জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ায় একে খন্দকারকে তথ্যমন্ত্রীর ধন্যবাদ

জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ায় একে খন্দকারকে তথ্যমন্ত্রীর ধন্যবাদ
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ -ছবি : জাগরণ

‘১৯৭১ : ভেতরে-বাইরে’ বইয়ের বিতর্কিত অংশের জন্য জাতির কাছে মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক ও সাবেক মন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ায় তাকে ধন্যবাদ জানিছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তবে তিনি বলেছেন, একটি ঐতিহাসিক সত্যকে তিনি কেন অন্যভাবে উপস্থাপন করেছিলেন, সে প্রশ্নটি থেকেই যায়।

রোববার (২ জুন) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনসহ দলের প্রচার উপ কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিজের লেখা বই ‘১৯৭১ : ভেতরে-বাইরে’ বইয়ের বিতর্কিত অংশের জন্য সংবাদ সম্মেলন করে জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক ও সাবেক মন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বীর উত্তম।

২০১৪ সালে প্রকাশিত ওই বইটি ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। বইটির একটি অংশে এ কে খন্দকার লেখেন, ‘‘১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের ঐতিহাসিক সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ভাষণ শেষ করেন ‘জয় পাকিস্তান’ স্লোগান দিয়ে।’’ ওই সময় বইটি নিষিদ্ধ করারও দাবি ওঠে।

এ কে খন্দকারের ওই বিষয়টির জন্য জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ কি মনে করে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, লেখক তার বক্তব্য যে কোনও সময় প্রত্যাহার করতে পারে, ভুল স্বীকারও করতে পারে। সেটার জন্য লেখকের স্বাধীনতা আছে। তাকে ধন্যবাদ জানাই যে তার উপলদ্ধি হয়েছে। বুঝতে পেরেছেন তিনি ভুল বলেছেন। তবে এ ক্ষেত্রে একটু দুর্বলতা থেকেই যায়। একজন লেখক কেন অন্যের প্রভাবে প্রভাবিত হয়েছেন। একটি ঐতিহাসিক সত্যকে তিনি কেন অন্যভাবে উপস্থাপন করেছিলেন, সে প্রশ্নটি থেকেই যায়। এরপর তিনি তার স্ত্রীসহ সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি যে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন, বঙ্গবন্ধুর আত্নার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।

যাদের কারণে এ কে খন্দকার এমন ভুল করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়া হবে কি-না এমন এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর।

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ঈদের আগে মুক্তি না পেলে তারা ঈদের পরে আন্দোলনের কথা বলেছে। এ বিষয়টি কিভাবে দেখছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি তো সরকারের হাতে নয়, আদালতের হাতে। তারা যদি আদালত থেকে জামিন পেতেন তাহলে ঈদের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির সুযোগ তৈরি হতো। কিন্তু আদালত থেকে তো তারা জামিন পান নি। ঈদের পরে তিনি জামিন পাবেন কিনা সেটি আদালতই বলতে পারবেন। আদালতের মাধ্যমেই তাদের (বিএনপি) খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনতে হবে, অন্য কোনও পথ নেই। আর গত ১০ বছর ধরেই ঈদের পরে বিএনপির আন্দোলন হবে বলে আমরা শুনে আসছি।

ঈদ যাত্রা নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ঈদের আগে প্রতিবছর বিএনপির পক্ষ থেকে গৎবাধা সমালোচনা করা হয়। আমরা সেটা দেখতে পাচ্ছি এবারও বিএনপি নেতৃবৃন্দ সেটা শুরু করে দিয়েছেন। আগের দিনের কাগজগুলো একটু খুলে দেখেন, ১০ বছর আগেও তারা একই কথা বলেছেন। প্রতিবছরই একই কথা বলেন, মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়িতে যেতে পারছে না। কিন্তু তাদের সময় কি ছিল, সেটি তারা বলে না।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে রাষ্ট্রীয় সফরে বিদেশে রয়েছেন। কিন্তু বিদেশে থাকলেও তিনি সার্বক্ষণিকভাবে দেশের সমস্ত বিষয়ের ওপর নজর রাখছেন। তিনি সরকারি কর্মকর্তা ও মন্ত্রীদের সঙ্গে তিনি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন এবং প্রয়োজনে নির্দেশনাও দিচ্ছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, এবার মানুষ স্বস্তির সঙ্গে রোজা রাখতে পেরেছেন। নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়েনি। কারণ রমজানের আগেই পর্যাপ্ত খাদ্যদ্রব্যের মজুদের ব্যবস্থা করেছিল। এ জন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে, কেউ যাতে পণ্যের দাম না বাড়ায় সে দিকেও সরকার দৃষ্টি দিয়েছিল।একই সঙ্গে ভেজাল-বিরোধী অভিযানও চালানো হয়েছে। 

হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের সড়কের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এ জন্য মানুষ স্বস্তিদায়কভাবে মানুষ ঈদ উৎসব পালন করার জন্য গ্রামের বাড়ি যেতে পারছেন।

এএইচএস/এসএমএম