• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০১৯, ০৮:৪১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৬, ২০১৯, ০৮:৪২ পিএম

হাইটেক পার্ক নির্মাণের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন দাবি

হাইটেক পার্ক নির্মাণের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন দাবি
হাইটেক পার্ক নির্মাণে উচ্ছেদ হওয়া ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন-ছবি : জাগরণ

প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা মঞ্চের পক্ষ থেকে বিশিষ্টজনরা রাজশাহীতে হাইটেক পার্ক নির্মাণের কারণে জমি অধিগ্রহণের আগে উচ্ছেদ হওয়া নাগরিকদের সকল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পুনর্বাসন নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, হাইটেক পার্ক নির্মাণের কারণে উচ্ছেদ হওয়া নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্টের।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভিআইপি লাউঞ্জে প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা মঞ্চের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা মঞ্চের সমন্বয়ক ব্যারিস্টার জোর্তিময় বড়ুয়া, আইন ইউসিএনের সাবেক দেশীয় প্রতিনিধি ইশতিয়াক আহমদসহ জাকির হোসেন, জাকিয়া শিশির অপরাজিতা সঙ্গীত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ব্যারিস্টার জোর্তিময় বড়ুয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, গঙ্গা নদীর তীরে এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভূক্ত বুলনপুর নতুনপাড়ায় এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক নির্মাণাধীন। সম্প্রতি সরকার প্রায় এই প্রকল্পের জন্যে ৩১ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে। এ কারণে সেখানে বসবাসকারী পরিবারগুলোকে উচ্ছেদ করা হয়। সরকার প্রায় ৬০০ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে পরিবারপ্রতি ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা প্রদান করেছে। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্তদের ভাষ্যমতে ওই এলাকায় প্রায় ১২০০ পরিবারের বসবাস ছিল। নদী ভাঙনসহ বিভিন্ন কারণে ভূমিহীন এসব পরিবার ওই এলাকায় ১৫ বছরের অধিককাল সিটি করপোরেশনকে নিয়মিত হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করে বসবাস করে আসছিল। এমনকি তারা জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে খাসজমি বরাদ্দ পাওয়ার জন্য আবেদনও করেছিলেন। সেই আবেদন গ্রাহ্য না হওয়ায় তারা উক্ত জমির মালিকানা স্বত্ত্ব পাননি অথচ ১৯৭২ সালে বোর্ড অব রেভিনিউর সার্কুলার দ্বারা ভূমিহীন কৃষকদেরকে বিনামূল্যে খাসজমি বন্দোবস্ত প্রদান করার আদেশ প্রদান করা হয়েছে। তারপর ১৯৮৭ সালের খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবাস্তবায়ন নীতিমালা যা ১৯৯৫ সালে সংশোধন করা হয়েছে, সেখানেও ভূমিহীনদের খাসজমি বন্দোবস্ত প্রদানের বিষয়ে জোর দেয়া হয়েছে। তারপরেও অজ্ঞাত কারণে বসবাসকারী ভূমিহীনরা জমি বন্দোবস্ত পায়নি। অন্যদিকে ভূমিহীন কৃষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খাসজমি বন্টন করা ভূমি প্রশাসনের অন্যতম দ্বায়িত্ব।

সংবাদ সম্মেলন থেকে তারা অবিলম্বে পার্ক নির্মাণের কারণে জমি অধিগ্রহণের আগে উচ্ছেদ হওয়া নাগরিকদের সকল ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। তাদের সন্তানদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা এবং সকলের চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানান। ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সকল প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড স্বচ্ছতার মাধ্যমে সম্পাদনের দাবি জানান তারা।

টিএস/এসএমএম

আরও পড়ুন