• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০১৯, ০৭:০৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৭, ২০১৯, ০৮:৩৫ পিএম

ফাহাদ হত্যা

শেরে বাংলা হলের কক্ষ দুটি ছাত্রলীগের টর্চার সেল [ভিডিও]

শেরে বাংলা হলের কক্ষ দুটি ছাত্রলীগের টর্চার সেল [ভিডিও]
‘ফাহাদের ঘাতকরা সকলেই ছাত্রলীগের পোস্টেড নেতা’

সিসি টিভির ফুটেজ : নির্যাতনের পর ফাহাদকে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের ২০১১ ও ২০১২ এ দুটি কক্ষ ছিল স্থানীয় ছাত্রলীগের টর্চার সেল (নির্যাতন কক্ষ)। আর এ টর্চার সেলে নিয়েই আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদধারী নেতারা। গোয়েন্দারা আজ দুপুরে ওই দুটি কক্ষ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গজারীর লাঠি, ক্রিকেট স্ট্যাম্প ও মশারির স্ট্যান্ড জব্দ করেছে।

ফাহাদ খুনের ঘটনায় গোয়েন্দারা এরইমধ্যে ছাত্রলীগের নেতাসহ ৬ জনকে আটক করেছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। 

জানা গেছে, টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহৃত ওই রুমে ৪ জন থাকতেন। তারা সবাই ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের নেতা।

হলের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ওই রুমে সবসময় মদ্যপান চলত। তারা রাতে মদ খেয়ে চিৎকার করতেন। তাদের কেউ কিছু বলতে গেলে গালিও দিতেন। আশপাশের রুমে যারা থাকেন, তারা ভালোভাবে ঘুমাতে পারতেন না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হল শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা জানান, এটি ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কক্ষ হিসেবে ব্যবহার হতো। এমনকী তারা যে কাউকে তুলে নিয়ে এসে নির্যাতন করতেন।

বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার জামিউশ সানি। তিনি বলেন, রাতে খবর পাওয়ার পরই আমি সেখানে (ঘটনাস্থল) যাই। কয়েকজন তাকে ওই রুমে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। যারা মারধরে জড়িত তারা সবাই ছাত্রলীগের পোস্টেড (পদধারী) নেতা।

তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমন একটি ঘটনায় ছাত্রলীগের কর্মীরা জড়িত থাকতে পারে- এমন ভাবাও কষ্টের। এটা খুবই ন্যক্কারজনক। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখানে ছাত্রলীগের ছেলে হিসেবে নয়, অপরাধী যে-ই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ২০১২ নম্বর কক্ষে রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তার মরদেহ তোশক দিয়ে পেঁচিয়ে হলের নিচতলা এবং দোতলার ফাঁকা স্থানে ফেলে দেয় ঘাতকরা। 

দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ফাহাদের ময়নাতদন্ত শেষে ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ জানান, লাঠি ও মশারির স্ট্যান্ড জাতীয় বস্তুর আঘাতে এবং ‘ইন্টারনাল ইনজুরি’তে ফাহাদের মৃত্যু হয়েছে। তার দুই হাতে-পায়ে, পিঠে, উরুতে, বাহুতে জখম রয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রক্তক্ষরণ ও ব্যাথায় ফাহাদের মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

এইচ এম/ এফসি

আরও পড়ুন