• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮, ০৯:৫৩ পিএম

অনন্য উচ্চতায় শেখ হাসিনা

অনন্য উচ্চতায় শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

 

বঙ্গবন্ধু কন্যা, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩৭ বছরের রাজনৈতিক জীবনে নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে টানা তিনবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তিনি। সব মিলে চতুর্থ বারের মতো দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাওয়া বঙ্গবন্ধু কন্যা এখন বিশ্বের দীর্ঘমেয়াদী সরকার প্রধানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছেন। এই ৩৭ বছর আগে দেশে ফেরা শেখ হাসিনা দেশকেও নিয়ে গিয়েছেন অনন্য এক উচ্চতায়। হয়েছেন বিশ্বনন্দিতও, পেয়েছেন নানা স্বীকৃতি। কিন্তু শেখ হাসিনার এই রাজনৈতিক পথ চলা ছিল প্রচন্ড বাধা ও কন্টকময়। দেশে বহুবার মৃত্যুর মুখোমুখীও হতে হয়েছে তাকে। 

জানা গেছে, সব মিলিয়ে চতুর্থবার আর টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড। একই সঙ্গে সপ্তমবারের মতো সংসদ সদস্য হওয়ায় দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চবার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। সারা বিশ্বের রাষ্ট্রক্ষমতাশীনদের দিকে তাকালে দেখা যায়, চারবার সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালনকারীদের মধ্যে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী মারা গেছেন। জীবিত নারীদের মধ্যে চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্র প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল। এখন সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা নারীদের এলিট ক্লাবে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন একাত্তর বছর বয়সী শেখ হাসিনাও।

৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হারানোয় শেখ হাসিনার রাজনৈতিক পথচলা কখনোই মসৃন ছিল না। তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ১৯ বার। বিভিন্ন সময়ে কারাবরণও করতে হয়েছে তাঁকে। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন তিনি প্রথম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ওই বছরের ১২ জুনের সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল।

৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করার পর ১৯৮১ সালের ১৭ই মে দেশে ফেরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। বিভীষিকায় এক অবস্থায় ধরেন হাল দলের। দেশে ফেরার পর দলের দায়িত্ব নিয়ে প্রথম নির্বাচনে অংশ নেন ১৯৮৬ সালে। মিডিয়া ক্যু করে এরশাদের সামরিক সরকার আওয়ামী লীগকে হারিয়ে দেয়। ওই তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মত বিরোধী দলীয় নেতা হন শেখ হাসিনা। পরে স্বৈরাচার পতনের পর ১৯৯১ সালে পঞ্চম সংসদেও তিনি বিরোধীদলীয় নেতার আসনে বসেন। ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে শেখ হাসিনা ৩টি সংসদীয় আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ সালে সপ্তম সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। ২০০১ সালে অস্টম সংসদে তিনি আবারো বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেন। এর পর ২০০৮ সালে নবম ও ২০১৪ এর দশম সংসদে তিনি বিজয়ী হয়ে টানা ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে দেশকে নিয়ে গেছেন অন্যএক উচ্চতায়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের পাঁচ সন্তানের মধ্যে বড় শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। ১৯৬৮ সালে খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী ডঃ এম. এ ওয়াজেদ মিয়ার সাথে বিয়ে হয় শেখ হাসিনার।

২০০৬ সালে বিএনপি-জামাত সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরে জটিলতা সৃষ্টি করলে সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। প্রায় ২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করে। এই নির্বাচনে তার দল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের পর ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের মত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।


শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সরকারি ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজের ছাত্র সংসদের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি এই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরের বছর সভাপতি ছিলেন। শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন সদস্য এবং ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্র জীবন থেকেই শেখ হাসিনা সকল গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

২০০৮ সালে সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার আগে নিজের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ, দিন বদলের সনদ স্লোগান তোলে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ। যা বর্তমানে অনেকটাই দৃশ্যমান বলে মনে করেন দেশের অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও গবেষকরাও। ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনায় দায়িত্ব নেয়ার পর তাঁর সরকার ১৯৭১ সালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের জন্য আইন প্রণয়ন করে। এই আইনের আওতায় স্থাপিত ট্রাইব্যুনাল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছে এবং রায় কার্যকর করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টিও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের বিজয়ের পেছনে নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে বলেও মনে করা হয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সময় শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান। পরে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ে ৬ বছর ভারতে অবস্থান করেন। ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালে দেশে ফেরেন তিনি। ওই বছরই শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে সর্বসম্মতিক্রমে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এর পর থেকে নিজেকে দেশের রাজনীতিতে আত্ন নিয়োগ করেন তিনি। 


শেখ হাসিনাকে যত আটক ও হামলা : ১৯৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সামরিক সরকার তাঁকে আটক করে ১৫ দিন অন্তরীণ রাখে। ১৯৮৪ সালের ফেব্রুয়ারি এবং নভেম্বর মাসে তাঁকে দু’বার গৃহবন্দী করা হয়। ১৯৮৫ সালের ২রা মার্চ তাঁকে আটক করে প্রায় ৩ মাস গৃহবন্দী করে রাখা হয়। ১৯৮৬ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে তিনি ১৫ দিন গৃহবন্দী ছিলেন। ১৯৮৭ সালে ১১ নভেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করে এক মাস অন্তরীণ রাখা হয়। ১৯৮৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা গ্রেফতার হয়ে গৃহবন্দী হন। ১৯৯০ সালে ২৭ নভেম্বর শেখ হাসিনাকে আবারও অন্তরীণ হতে হয়। সর্বশেষ ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে সংসদ ভবন চত্বরে সাবজেলে পাঠায়। প্রায় ১ বছর পর ২০০৮ সালের ১১ জুন তিনি মুক্তি পান। শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য কমপক্ষে ১৯ বার সশস্ত্র হামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালনকালে তাঁকে লক্ষ করে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। এতে যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, বাবুল ও ফাত্তাহ নিহত হন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তাঁকেসহ তাঁর গাড়ি ক্রেন দিয়ে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংয়ের সামনে তাকে লক্ষ্য করে পুলিশ বাহিনী লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করে।

এ ঘটনায় শেখ হাসিনা অক্ষত থাকলেও ৩০ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী নিহত হন। ১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচন চলাকালে তাঁকে লক্ষ করে গুলিবর্ষণ করা হয়। ১৯৯৪ সালে ঈশ্বরদী রেল স্টেশনে তাঁর কামরা লক্ষ করে অবিরাম গুলিবর্ষণ করা হয়। ২০০০ সালে কোটালীপাড়ায় হেলিপ্যাডে এবং শেখ হাসিনার জনসভাস্থলে ৭৬ কেজি ও ৮৪ কেজি ওজনের দু’টি বোমা পুতে রাখা হয়। বিএনপি সরকারের সময় সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা হয় ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট। ঐ দিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এক জনসভায় বক্তব্য শেষ করার পরপরই তাঁকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা করা হয়। ইতিহাসের ভয়ংকর ও লোমহর্ষক সেই হামলায় শেখ হাসিনা প্রাণে রক্ষা পেলেও আইভি রহমানসহ তাঁর দলের ২২ নেতাকর্মী নিহত হন এবং ৫’শর বেশি মানুষ আহত হন। শেখ হাসিনা নিজেও কানে আঘাত পান।


আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি : বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় দেশি-বিদেশি অনেক পুরস্কার, পদক, ডক্টরেট ও সম্মাননা পেয়েছেন। সামাজিক কর্মকান্ড, শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য শেখ হাসিনাকে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা সম্মানিত করেছে। এর মধ্যে জাতিসংঘের বেশকটি পুরস্কার রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সুদীর্ঘ ২৫ বছরের গৃহযুদ্ধ অবসানের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো তাঁকে হুপে-বোয়ানি (Houphouet-Boigny) শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শেখ হাসিনাকে সম্মানজনক ‘সেরেস’ (CERES) মেডেল প্রদান করে। এছাড়া, ২০১৪ সালে ইউনেসকো তাঁকে ‘শান্তির বৃক্ষ’ এবং ২০১৫ সালে উইমেন ইন পার্লামেন্টস গ্লোবাল ফোরাম নারীর ক্ষমতায়নের জন্য তাঁকে রিজিওনাল লিডারশীপ পুরস্কার এবং গ্লোবাল সাউথ-সাউথ ডেভলপমেন্ট এক্সপো-২০১৪ ভিশনারি পুরস্কারে ভূষিত করে। জাতিসংঘ পরিবেশ উন্নয়ন কর্মসূচি দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিবেশ এবং টেকসই উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য লিডারশীপ ক্যাটাগরিতে শেখ হাসিনাকে তাদের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ-২০১৫’ পুরস্কারে ভূষিত করেছে। এছাড়া, টেকসই ডিজিটাল কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য International Telecommunication Union (ITU) শেখ হাসিনাকে ICTs in Sustainable Development Award-২০১৫ প্রদান করে। ২০১৮ সালে নারী নেতৃত্বের সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কার পান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৬ সালে লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ অবদানের জন্য জাতিসংঘের দুটি অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। ২০১৫ সালে WIP (Women in Parliament) Global Award. রাজনীতিতে নারী পুরুষের বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনের জন্য পুরস্কৃত হন। 
 

দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্জন : বাংলাদেশীদের জন্য গুরুত্ব, এমন অনেক অর্জন এসেছে শেখ হাসিনার হাত ধরেই। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি করে তিনি দেশের পর্বত্য অঞ্চলে বাঙালী ও পাহাড়ী সংঘর্ষ বন্ধ করে সেখানে সুবাতাস আনতে সহায়তা করেন। ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি শেখ হাসিনার সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। এ ছাড়া ভারতের সঙ্গে করা সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন ২০১৫ সালে শেখ তার হাত ধরেই এসেছে। 


এএইচএস/এসএমএম