• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২২, ১২:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৬, ২০২২, ১২:০২ পিএম

স্মৃতিকে নিয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল

স্মৃতিকে নিয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল

রাজবাড়ী জেলা মহিলা দলের সদস্য সোনিয়া আক্তার স্মৃতিকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্মৃতি রাজবাড়ী ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, একজন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে সোনিয়া আক্তার স্মৃতি সত্য উচ্চারণ করার কারণেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই সরকার বিচলিত হয়ে ওঠে।

তিনি বলেন, পুলিশ যেভাবে স্মৃতিকে গ্রেপ্তার করেছে তা অমানবিক, অসভ্যতার এক নজিরবিহীন ঘটনা। তার বাসায় গভীর রাতে পুলিশ যেভাবে হানা দিয়েছে তা একাত্তরের হানাদার বাহিনীর বর্বরতার সমতুল্য। সোনিয়া আক্তার স্মৃতি বারবার কাকুতি-মিনতি করে বলেছে- ‘আমার দুটি ছোট বাচ্চা আছে, আপনারা এত রাতে আসছেন কেন, গ্রেপ্তার করলে দিনে আসুন’। কিন্তু তারপরও পুলিশ কোনো কথা শোনেনি। সন্ত্রাসী কায়দায় তখনি তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সোনিয়ার দুটি ছোট বাচ্চার আহাজারিতেও পুলিশের মন গলেনি। বর্তমান সরকারের আমলে নারীর ওপর এহেন আচরণ আরেকটি কুৎসিত দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

অবিলম্বে সোনিয়া আক্তার স্মৃতির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারসহ তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে সোনিয়া আক্তার স্মৃতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজবাড়ী পৌরসভার বেড়াডাঙ্গা এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোনিয়া আক্তার স্মৃতি রাজবাড়ী পৌরসভার ৩নং বেড়াডাঙ্গা এলাকার মো. খোকনের স্ত্রী।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. সামসুল আরেফিন চৌধুরী বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন। ওই এজাহারের পরিপ্রেক্ষিতে রাজবাড়ী সদর থানায় দণ্ডবিধি ১৫৩ ও ৫০৫ ধারায় মামলা নেয় পুলিশ।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য মিথ্যা, বানোয়াট, মানহানিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করেন।