• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৩, ১২:১৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ১৪, ২০২৩, ০৬:১৪ এএম

বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করলেন শেখ হাসিনা

বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করলেন শেখ হাসিনা
ছবি ● সংগৃহীত

নির্বাচন ইস্যুতে কারওর চাপে কিছু যায় আসে না বলেও সোজা জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে কোন সংলাপের সম্ভাবনাও নাকচ করে দিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১৩ মার্চ) বিকালে সাড়ে চারটায় তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ভদ্রতা জানে না। যে দল বেশি লাফায় সে দলের দুই নেতাই হচ্ছে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা না পারবে ইলেকশন করতে, না পারবে ক্ষমতায় আসতে।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের উপলক্ষে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে কিনা- এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, কাদের সঙ্গে সংলাপ করব, যারা আমার বাবা-মার হত্যাকারী এবং আইভি রহমানের হত্যাকারী। আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। তারপরও তাদের সহ্য করে করেছি। এমনকি খালেদা জিয়ার ছেলে যখন মারা গেলো তখন তার বাড়ি গিয়েছিলাম।

সেই ঘটনা স্মরণ করে তিনি বলেন, কিন্তু কী করেছে, আমাকে তার বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। বাড়ির দরজার বন্ধ করে দিয়েছিল। আমি বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তারপর তাদের অনেক কিছু সহ্য করেছি। তাদের সঙ্গে কীসের সংলাপ। কেউ পারত যার বাবা-মাকে হত্যা করেছে তাদের সঙ্গে সংলাপ করতে। যারা এতোটুক ভদ্রতা জানে না তাদের সঙ্গে কিসের সংলাপ। যতটুকু সহ্য করেছি ততটুকু দেশের স্বার্থে, নিজের স্বার্থে নয়।

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যে দল বেশি লাফায় সে দলের দুই নেতাই হচ্ছে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা না পারবে ইলেকশন করতে, না পারবে ক্ষমতায় আসতে। বিএনপি নিজের গঠনতন্ত্র নিজেরা ভঙ্গ করছে। কারণ তাদের গঠনতন্ত্রে আছে সাজাপ্রাপ্ত আসামি দলের নেতা হতে পারে না। এখন সেই সাজাপ্রাপ্ত আসামিকেই দলের নেতা বানিয়ে রেখে দিয়েছে। এখন এই দলের কাছে কী আশা করবেন।

আগামী নির্বাচন ঘিরে আন্তর্জাতিক কোনও চাপ আছে কি না, এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন কোনও চাপ নেই যেটা শেখ হাসিনাকে দিতে (টলাতে) পারে, এটা মাথায় রাখতে হবে। কারণ আমার সাহস একমাত্র আমার জনগণ। আর আমার আল্লাহ আছে এবং আমার বাবা-মার আশীর্বাদ ও দোয়া আছে।

তিনি আরও বলেন, কে কি চাপ দিলো, না দিলো এটাতে কিছু আসে যায় না। আমি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাই না। জনগণের স্বার্থে কাজ করি। জনগণ যা বলবে আমি তাই করব। বিদেশি চাপ আমাকে কিছুই করতে পারবে না। জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। জনগণের কল্যাণে যা করার দরকার আমরা তাই করব।

শেখ হাসিনা বলেন, বহু চাপই ছিল। পদ্মা সেতুর করার সময়ও কম দেয়া হয়নি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে একের পর এক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ফোন দিয়েছিল। ফোন দেয়ার একটি কারণ; একজন ব্যক্তিকে একটি ব্যাংকের এমডি বানাতে হবে। একটা এমডি পদের মধ্যে কী মধু আছে সেটা আমি জানি না। একজন বিশেষ ব্যক্তিকে এমডি পদে রাখতে হবে। তারপর পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করেছিল। পরে নিজেদের পয়সায় পদ্মা সেতু করেও তাদেরকে দেখিয়েছি। সুতরাং ওই চাপে আমাদের কিছু আসে যায় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা অভিযোগ করছে করুক। বিদেশি দূতাবাসে যাচ্ছে, বিদেশি কূটনীতিকদের ডেকে এনে বৈঠক করছে, বহির্বিশ্বে চিঠি পাঠাচ্ছে। এতে আমার কিছু যায় আসে না। কত ফোন এসেছে, কত হুমকি এসেছে, আমাদের উন্নয়ন থেমে গেছে? আমাদের অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা এসেছে, তাই বলে আমাদের উন্নয়ন কাজ থেমে গেছে?

জাগরণ/রাজনীতি/আওয়ামীলীগ/এসএসকে