• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২, ২০২৩, ১১:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২, ২০২৩, ১১:৪৮ পিএম

ভয়েস অব আমেরিকাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিএনপির সঙ্গে কথা বলার মতো কিছু নেই

বিএনপির সঙ্গে কথা বলার মতো কিছু নেই
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ● সংগৃহীত

বিএনপি একজন সামরিক স্বৈরশাসকের তৈরি করা দল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে অবস্থায় তারা আছে, এখন আর ওদের সঙ্গে বসতে ইচ্ছে করে না। তাদের সঙ্গে বসলে যেন সেই পোড়া মানুষগুলোর পোড়া গন্ধটা আমি পাই।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে  ২৯ এপ্রিল শনিবার দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার ওই সাক্ষাৎকারটি প্রচার করা হয়।

আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের বিএনপির সঙ্গে বসার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সৃষ্টি করেছে একজন মিলিটারি ডিক্টেটর। যে ১৯৭৫ সালে আমার বাবা-মা, ভাই-বোনদের হত্যা করে, একজন রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে।

‘ক্ষমতায় বসে হ্যাঁ/না ভোটের একটা নাটক সাজালো, সেখানে ‘না’ ভোট না, ‘হ্যাঁ’ ভোটই হয়ে গেল সব।’

শেখ হাসিনা বলেন, যারা একাত্তর সালে গণহত্যা চালিয়েছে, নারীধর্ষণ করেছে, সাজাপ্রাপ্ত, যারা পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়ে বাইরে চলে গেছে- জিয়াউর রহমান তাদের সবাইকে ফেরত নিয়ে এসেছিল। তাদের মন্ত্রিত্ব দিয়েছিল। ক্ষমতায় ছিল আমার বাবার হত্যাকারী এবং স্বাধীনতা বিরোধী যারা যুদ্ধাপরাধী। তারপরও শুধু দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে আমি কিন্তু তাদের সঙ্গে আলোচনাও করেছি।

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, একে তো সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তার ওপর আমার বাবা-মা, ভাই-বোনদের খুনি, যুদ্ধাপরাধী। তারপরও দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য আমি অনেক উদারতা দেখিয়েছি। তবে এখন আর তাদের সঙ্গে কথা বলার মতো কিছু নেই। 

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি তিন হাজার ৮০০ গাড়িতে আগুন দিয়েছিল, ২৯টা ট্রেনে তারা আগুন দিয়েছে। সিএনজি, লঞ্চ, ট্রাক সবখানে পেট্রোল জ্বালিয়ে আগুন দিয়েছে। মানুষকে পুড়িয়ে মারা এটাই নাকি তাদের আন্দোলন। যার ফলে তাদের অবস্থানটা আরও খারাপ।

‘৫০০ স্কুল তারা জ্বালিয়ে দিয়েছিল আগুন দিয়ে এবং ৭০টি সরকারি অফিস, ভূমি অফিস জ্বালিয়েছিলো।’

ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, রোহিঙ্গা ইস্যু, স্মার্ট বাংলাদেশসহ নানা বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন শুধু বাংলাদেশেই না, এটা কিন্তু আমেরিকা-ইংল্যান্ডসহ পৃথিবীর সব দেশেই আছে। পৃথিবীর সব দেশে ডিজিটাল আইন যেভাবে আছে, আমাদের দেশে একইভাবে আছে। এখানে সাংবাদিকদের হয়রানির বিষয় নয়, যে অপরাধ করে তাকেই আইনের আওতায় আনা হয়।

ভয়েস অব আমেরিকা’র বাংলা বিভাগকে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা র‍্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোহিঙ্গা ইস্যু, এবং স্মার্ট বাংলাদেশসহ নানা প্রসঙ্গ নিয়ে শেখ হাসিনা খোলামেলা আলোচনা করেন।

পদ্মা সেতুর কথিত দুর্নীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যকার সম্পর্কের টানাপড়েন ও তা অতিক্রম করে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে পঞ্চাশ বছরের অংশীদারিত্বের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা বলেন শেখ হাসিনা।

সম্প্রতি বাংলাদেশের সব নাগরিকদের জন্য সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন করা হয়েছে। আগামী ১ জুলাই থেকে এই আইন চালু হচ্ছে। বর্তমানে ঐচ্ছিক হলেও ২০৩০ সালের মধ্যে এটি সব নাগরিকের জন্য বাধ্যতামূলক করে পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য বাংলাদেশ সরকারের। এ বিষয় নিয়েও সাক্ষাৎকারে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

জাগরণ/জাতীয়/এসএসকে