• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৩, ১১:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৬, ২০২৩, ১১:৫৩ পিএম

সাতাশের পর আটাশেও পাল্টাপাল্টি

সাতাশের পর আটাশেও পাল্টাপাল্টি

আবারও পাল্টা পাল্টি অবস্থান নিয়েছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সহযোগী তিন সংগঠন। দেশের দুই রাজনৈতিক বৃহৎ শক্তি তাদের বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি থেকে সরে এলেও শুক্রবার আবারও মুখোমুখি হচ্ছে তারা।

নতুন ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং ভাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের সমাবেশ হবে আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়া পল্টনে মহাসমাবেশ করতে ডিএমপির কাছে অনুমতি চেয়েছিল বিএনপি। একই দিন,  রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় শান্তি সমাবেশ করতে অনুমতি চেয়েছিল আওয়ামী লীগের সহযোগী দুই সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ।  আরও সাতটি সংগঠন এই দিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সমাবেশের অনুমতি চায়।

বৃহস্পতিবার কর্মদিবস হওয়ায় দুই বড় রাজনৈতিক শক্তির সমাবেশের হলে রাজধানী অচল হয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। এ প্রেক্ষিতে জনদুর্ভোগ বিবেচনায় রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ছুটির দিনে করতে রাজনৈতিক দলগুলোতে আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।   

এক পর্যায়ে বিএনপিকে সমাবেশ করতে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠ আর যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগকে শান্তি সমাবেশ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে যাওয়ার পরামর্শ দেন ডিএমপি কমিশনার। পুলিশের আপত্তির মুখে সমাবেশ নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনায় বসে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

পরে রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, বৃহস্পতিবারের মহাসমাবেশ একদিন পিছিয়ে শুক্রবার নতুন দিন ঠিক করা হয়েছে।  

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা নয়া পল্টনে মহাসমাবেশের কথা ডিএমপিকে অবহিত করেছি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আদালতের আপত্তি আর নয়া পল্টনে কর্ম দিবসে জনভোগান্তির কথা তুলে ধরে তারা আপত্তি জানিয়েছে। যদিও কর্মদিবসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের বহু দৃষ্টান্ত আছে। আমরা অনেকভাবে ডিএমপির সাথে কথা বলেছি। আমি ব্যক্তিগত ভাবেও কথা বলেছি। তারপরেও এই সমাবেশে তারা আপক্তি জানাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি বরাবরই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। এই মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে অসংখ্য নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং হচ্ছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী বিএনপি ২৭ জুলাইয়ের পরিবর্তে ২৮ জুলাই, শুক্রবার দুপুর ২ টায় নয়া পল্টনে মহাসমাবেশ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। আশা করি, এই কর্মসূচিতে সরকার বা কোনও প্রতিষ্ঠান বাধা তৈরি করবে না।’

ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে সমাবেশের অনুমতি চাইলে তা নাকচ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। তবে মাঠটি প্রস্তুত নয় এমন দাবি করে শুক্রবার কর্মসূচিটি পালনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মাঠটিকে সমাবেশেন জন্য প্রস্তুত করতে আরও একদিন সময় লাগবে। এ কারণে সমাবেশ একদিন পিছিয়ে শুক্রবার করা হয়েছে।

জাগরণ/রাজনীতি/এসএসকে