• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০১৯, ১০:৫৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৩১, ২০১৯, ১১:২৮ এএম

জুয়াড়িরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে, বিপদে পড়েন সাকিবরা 

জুয়াড়িরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে, বিপদে পড়েন সাকিবরা 
দীপক আগারওয়ালের ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব গোপন করেই নিষেধাজ্ঞার কবলে সাকিব আল হাসান। ফটো : সংগৃহীত

সব ধরনের ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া সাকিব আল হাসান এবং জুয়াড়ু দীপক আগারওয়ালের হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ চালাচালির বিষয়টি আইসিসি কীভাবে জানলো? দুইপক্ষের কোন একজন বিষয়টি ফাঁস করেছেন নাকি এটি ছিল স্ট্রিং অপারেশন?

ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি সাকিব গোপন করেছেন- বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তার শাস্তি হলেও দীপক আগারওয়ালদের মতো জুয়াড়িরা কেন ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান; এই প্রশ্নই এখন সবার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।  

সবার মাঝেই এখন সবচেয়ে বড় কে প্রশ্নটি আসছে তা হলো সাকিব আল হাসান এবং জুয়াড়ু দীপক আগারওয়ালের কথোপকথনের বিষয়টি আইসিসি কীভাবে জানলো? 

হোয়াটসঅ্যাপের ইনক্লিপটেড মেসেজ অন্য কারোর জানার কথা নয়। সাকিব আল হাসান অথবা জুয়াড়ু দীপক আগারওয়ালের যে কাউকে মেসেজের বিষয়টি ফাঁস করতে হবে। সাকিব যদি ফাঁস করতেন। তাহলে সাজার হাত থেকে তিনি রেহাই পেতেন। সেক্ষেত্রে এমনও হতে পারে, সাকিব ম্যাচ ফিক্সিংয়ে রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তথ্য ফাঁস করেছেন আগারওয়াল।

দীপক আগারওয়াল ব্যক্তিটি আসলে কে? ফিক্সিং নিয়ে লেখা বিখ্যাত বই বুকি গ্যাম্বেল এবং ফিক্সার স্পাইয়ে দীপকের নামকে ছদ্ম নাম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ভারতীয় থাকেন দুবাইয়ে। 

ফিক্সিংয়ের বিষয়টি নিয়ে কাতারভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল জাজিরার এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়- ৭ থেকে ৭০ ভাগ ম্যাচই নাকি জুয়াড়ুরা পাতাতে পারেন। ভারত-শ্রীলঙ্কার জুয়াড়ুদের তারা প্রতিবেদনে সামনেও এনেছিল। 

জুয়াড়িদের কালো তালিকা আইসিসির কাছে আছে। তাদের ফোন নম্বরও নাকি ট্র্যাক করা হয়। তাহলে তাদের কখনোই আটক করা হয় না কেন? এই বিতর্ক পুরো ক্রিকেট বিশ্বেই রয়েছে।  

ক্রিকেট বিশ্বে ভারতীয় জুয়াড়িদের অবাধ বিচরণ। যার শক্ত প্রমাণ মেলে সবশেষ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে। যেখানে ৯ জুয়াড়িকে আটক করে পুলিশ। তাদের সবাই ছিল ভারতের নাগরিক।

এছাড়াও আইসিসির দুর্নীতি কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে আরো ভয়াবহ তথ্য। যেখানে আইসিসির মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল বলেন, বিশ্বে জুয়াড়িদের বেশিরভাগই ভারতীয় নাগরিক। অথচ মজার বিষয় মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন, অজয় জাদেজ আর সবেশেষ শ্রীশান্ত ছাড়া আর তেমন কোন ভারতীয় ক্রিকেটার ধরা পড়েনি ফিক্সিংয়ের অপরাধে। কিন্তু ভারতীয় জুয়াড়িদের ফাঁদে বেশি পড়ছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা আর পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা।

আরেকটি প্রশ্ন এখন বড় হয়ে এসেছে যে, ক্রিকেটাররা যখন ফিক্সিং করার অপরাধে অথবা প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি গোপন রাখার পর ধরা পড়েন, তখন কেন আগারওয়ালদের মতো জুয়াড়িরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান? অজানা কোনো এক কারণে ভারতীয় জুয়াড়িরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছেন। আর তাতেই ফিক্সাররা টিকে যান বহাল তবিয়তে। আর ভুল করে অন্ধকারে প্রবেশ করেন সাকিবের মতো ক্রিকেটাররা। যমুনা টিভি। 

 

আরআইএস  

আরও পড়ুন