• ঢাকা
  • বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০১৯, ১১:৫৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৩১, ২০১৯, ১১:৫৮ এএম

সাকিবের নিষেধাজ্ঞায় রমিজ-ভনের বিরূপ মন্তব্য

সাকিবের নিষেধাজ্ঞায় রমিজ-ভনের বিরূপ মন্তব্য

জুয়াড়ির কাছ থেকে ফিক্সিংয়ের পাওয়া প্রস্তাব গোপন করায় এক বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হওয়ায় বাংলাদেশে তো বটেই বিশ্বজুড়েই অনেকেই এ ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছেন। 

ফিক্সিংয়ের মতো অপরাধ না করেও সাকিব নিষিদ্ধ হওয়ায় যখন চারিদিকে চলছে বেদনার সুর, এমন সময় সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন এবং সাবেক অধিনায়ক ও ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা বিষয়টি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বসেছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ভন লিখেছেন, সাকিব আল হাসান যে শাস্তিই পাক না কেন; কোনো সমবেদনা নেই। এ যুগে খেলোয়াড়েরা কী করতে পারবে আর কী পারবে না, তা সব সময়ই বলা হয় এবং তাদের কী কী জানাতে হবে সেটাও বলা হয়। দুই বছর পর্যাপ্ত না। আরও বড় শাস্তি হওয়া উচিত ছিল।

রমিজ রাজা টুইটারে লিখেছেন, সব ক্রীড়াপ্রেমী ও ক্রীড়াবিদদের জন্য সাকিবের শাস্তি একটি শিক্ষা। আপনি যদি নিয়ম-নীতিকে পাশ কাটিয়ে খেলার চেয়েও বড় হতে চান, তাহলে চরম পতনের জন্যেও তৈরি থাকুন।

ভারতীয় ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলের টুইট, আমার আশপাশের অনেকেই বলছেন যে, সাকিব আল হাসানের ওপর দেওয়া শাস্তিটা খুব কঠিন হয়েছে। পক্ষান্তরে আমি বলতে চাই যে, সাকিব আসলে সৌভাগ্যবান যে তাকে এক বছর স্থগিত শাস্তি দেয়া হয়েছে। যে কারণে মাত্র ১ বছর মাঠের বাইরে থেকেই আবার ফিরতে পারবে।

তিনি লিখেছেন, সাকিবের মতো উচ্চমানের ক্রিকেটার বাদ দিলাম। বর্তমান সময়ে বিশ্বের কোনো ক্রিকেটারই এসব (ম্যাচ পাতানো) প্রস্তাবের খবর গোপন রাখতে পারে না। এমনকি বয়সভিত্তিক ক্রিকেটেও তারকা খেলোয়াড়দের বলে দেয়া হয়, যাতে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব এলে সঙ্গে সঙ্গে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানাতে। আর সেখানে তিন-তিনবার প্রস্তাব পেয়েও গোপন রাখা সত্যিই আশ্চর্যজনক।

হার্শা ভোগলে আরও লিখেছেন, ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব গোপন রাখার অপরাধে সাকিব আল হাসানের দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার খবরটি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অনেক বড় ধাক্কা এবং শঙ্কার বিষয়। সাকিব তাদের সবচেয়ে বেশি আয় করা ক্রিকেটার। যে কারণে তার কাছে কোনো প্রস্তাব এলে সেটি জানিয়ে দেয়ার জন্য সাকিবই সবচেয়ে ভালো অবস্থায় ছিলেন।

তবে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ভারতের সাবেক অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়ের টুইট, অবিশ্বাস্য! সাকিবের শাস্তিটা বেশি কঠিন হয়ে গেল না? সে কি ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত ছিল? আমার মনে হয়, তার অপরাধ হলো আইসিসি এবং এন্টি করাপশন ইউনিটকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব সম্পর্কে জানায়নি। এজন্য দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা একটু বেশিই কঠোর হয়ে গেছে। আশা করি আইসিসি তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে।

ভারতের ক্রীড়া সাংবাদিক ও লেখক বরিয়া মজুমদারের টুইট, এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ দুই বছর নিষিদ্ধ হওয়া সাকিবের জন্য বড় আঘাত। নির্মম? সে কিন্তু কোনো দুর্নীতি করেনি। তাকে কি আরেকটু কম শাস্তি দেওয়া যেতো না?

আরআইএস 


 

আরও পড়ুন