• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০১৯, ০১:২০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২১, ২০১৯, ০১:২০ পিএম

২১ আগস্টের মামলায় পলাতকদের রায় কার্যকর করা সম্ভব : আইনমন্ত্রী

২১ আগস্টের মামলায় পলাতকদের রায় কার্যকর করা সম্ভব : আইনমন্ত্রী
দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী- ছবি: জাগরণ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের মাধ্যমে রায় কার্যকর করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, আমরা তাদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। কার্যকর কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং তা অব্যাহত আছে। 

বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে ২১ আগস্ট মামলার রায় কার্যকর করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। 

আইনমন্ত্রী বলেন, রায় কার্যকরের পথে কিছুটা জটিলতা ছিল, আজও আছে। সেটা সমাধানেরও চেষ্টা করছি। আমরা আশা করি, এই রায় কার্যকর করার জন্য তাদেরকে ফিরিয়ে আনা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে। 

মামলার রায় পরবর্তী কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিচাররিক আদালত কাউকে যদি ফাঁসি দেয়, তাহলে ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৭০ ধারা অনুযায়ী সেই মামলা ডেথ রিফোরেন্স হিসেবে হাইকোর্ট ডিভিশনে চলে যায়। ২১ আগষ্টের গ্রেনেট হামলা ও হত্যা মামলার রায়ে কিছু সংখ্যক লোকের ফাঁসি হয়েছে, কিছু আসামীর যাবজ্জীবন হয়েছে। ফাঁসি হওয়ার কারণে তা ডেথ রিফারেন্স হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে চলে গেছে। 

আনিসুল হক বলেন, যারা যাবজ্জীবন পেয়েছেন তারাও হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করেছেন। হাইকোর্ট বিভাগের নিয়ম হচ্ছে, ডেথ রিফারেন্স ও যাবজ্জীবন সাজাটাকে একসঙ্গে ট্যাগ করে তারা শুনানি করেন। সেই ক্ষেত্রে কিছু ফরমালিটিজ আছে সেগুলো কমপ্লিট করতে হয়। 

মন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে যাদের ফাঁসি হয়েছে তাদের পেপারবুক সরকারের তৈরি করে দিতে হয় বিজি প্রেসের মাধ্যমে। এই পেপারবুকের মধ্যে মামলার যাবতীয় কাগজপত্র থাকে। এটা তৈরি করে মামলাটি শুনানির জন্য প্রস্তুত হয় এবং শুনানীয় হয়।

তিনি বলেন, আমি এটুকু বলতে পারি এই মামলার পেপাবুক তৈরি হওয়ার জন্য যে আনুসাঙ্গিক কার্যক্রম সেটা শুরু হয়ে গেছে। যেমন কাগজপত্র আসার পরে সেটা সটিং হয়, তারপরে এটা বিজি প্রেসে চলে যায়। একাজ শুরু হয়ে গেছে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রসিকিউশন থেকে দেখবো এই পেপারবুক তৈরির কাজটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটা যেন হয়। এই মামলার মোট স্বাক্ষী ২২৫ জন, ফলে এই মামলার পেপারবুক অনেক বড় হবে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত মামলাটির শুনানি শুরু করতে।

‘রায়ের ১০ মাস পার হলেও এখনও হাইকোর্ট বিভাগে শুনানি হচ্ছে না কেন’ এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটা বেশি সময় নয় আমরা বলতে পারি আগামী ২ থেকে ৪ মাসের মধ্যে মামলাটির পেপারবুক তৈরি হয়ে যাবে, তখন শুনানি হবে।

এমএএম/বিএস 
 

আরও পড়ুন