• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৩, ১২:৪৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৬, ২০২৩, ০১:২৩ এএম

বিগো অ্যাপে জুয়ায় আসক্ত ছিলেন হিমু

বিগো অ্যাপে জুয়ায় আসক্ত ছিলেন হিমু
অভিনেত্রী হোমায়রা হিমু ● ফাইল ফটো

প্রয়াত অভিনেত্রী হোমায়রা হিমু দুটি মুঠোফোন প্রেমিক জিয়াউদ্দিন উরফির কাছ থেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের প্রমাণ পেয়েছে বাহিনীটি। হিমুর মেসেঞ্জার ও সোশ্যাল মাধ্যমগুলোতে কিছু ব্যক্তির যোগাযোগের সাবুতও পেয়েছে তারা। 

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারকৃত উরফিকে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে হাজির করে এ তথ্যগুলো দিয়েছে বাহিনীটি।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন পুরো ব্রিফিংটি করেন। তিনি বলেন, ‘কিছু ব্যক্তি যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পপুলার; যারা বিভিন্ন সময়ে নিজেদের গুণী ও ভালো মানুষ দাবি করেন; তাদের সঙ্গে যোগাযোগের বিভিন্ন সূত্র আমরা পেয়েছি। যেহেতু এটা আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা। তাই তাদের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

 

গ্রেপ্তার জিয়াউদ্দিন রুফি ওরফে উরফি।

উরফির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর বিয়ে হয় ২০০২ সালে। ২০০৫ সালে তার বিচ্ছেদ হয়।

২০১২ হিমুর খালাতো বোনের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল জিয়াউদ্দিন উরফির। তাঁদের মধ্যে রিলেশন ও বিয়ে হয়। দুই মাসের মধ্যে বিচ্ছেদও হয়।’

তিনি জানান, জিয়াউদ্দিন আবার বিয়ে করলেও হিমুর সঙ্গে বিভিন্নভাবে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখেন এবং চার মাস আগে তাঁরা ঘনিষ্ঠ হন। একপর্যায়ে জিয়াউদ্দিন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়মিত হিমুর বাসায় যাতায়াত শুরু করেন। 

হিমুর ও উরফির মোবাইল। ছবি র‌্যাবের মিডিয়া সেল

র‍্যাবের তথ্য অনুযায়ী, হিমুকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করার পর তিনি হিমুর দুটি আইফোন ও গাড়ি নিয়ে দ্রুত হাসপাতাল ত্যাগ করে। পরে গাড়িটি উত্তরার বাসার পার্কিংয়ে রেখে দেন এবং মোবাইল ফোন দুটি বিক্রির উদ্দেশ্যে রাজধানীর বংশাল এলাকায় যান। 

জানা যায়, জিয়াউদ্দিন ‘ও’ লেভেল শেষ করে টেক্সটাইল কেমিক্যালের ব্যবসা করত। আগে পরিস্থিতি মন্দ গেলেও এখন ব্যবসায় তার সুদিন চলছিল।

উরফির দেয়া তথ্য অনুযায়ী কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘প্রায় আড়াই বছর বিগো অ্যাপসে আসক্ত ছিলেন হিমু। উরফি গত চার মাসে হিমুকে ২১ লাখ টাকার কয়েন কিনে দিয়েছেন।’

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিথর হিমুকে উত্তরার আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় প্রেমিক জিয়াউদ্দিন ও মেকআপ আর্টিস্ট মিহির।

তখনই কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই হিমুর মোবাইল ফোনসহ গায়েব হন জিয়াউদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাতে হিমুর মামা নাহিদ আক্তার রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন। এতে মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন উরফিকে আসামি করা হয়। র‌্যাব আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।

জাগরণ/দেশেরবিনোদন/এসএসকে