• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২০, ০৪:১৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৩, ২০২০, ০৪:১৪ পিএম

সুন্দরী হয়েও দুষ্টু কাজে আলোচিত ৪ নারী

সুন্দরী হয়েও দুষ্টু কাজে আলোচিত ৪ নারী

ব্রিটেনের রানী প্রথম এলিজাবেথ একটি অমর উক্তি, অ্যা গুড ফেইস ইজ দ্যা বেস্ট লেটার অব রিকমেন্ডেশন। বাংলায় যার অর্থ ‘আগে দর্শনধারী পরে গুণ বিচারী’। কিন্তু সব সময় এই রকম ধারণা কি ঠিক। এমন দর্শনে বিশ্বাসীদের জন্য কিন্তু দুঃসংবাদও রয়েছে। কারণ ইতিহাসে দুষ্ট সুন্দরীর সংখ্যাও কম নয়। সেই সঙ্গে তাদের নিয়ে আলোচনাও কম নয়। চলুন জেনে নেই এমন কিছু সুন্দরী সম্পর্কে, যারা দেখতে সত্যিকারেই ডানাকাটা পরী। আর দুষ্টু কাজে যেন হাত পাকা কাজী:


মেরি আঁতোয়ানেই
মেরি আঁতোয়ানেই। ফরাসি বিদ্রোহের আগে ফ্রান্সের রানী ছিলেন তিনি। দেখতে ছিলেন অসামান্য সুন্দরী। চারদিকে তার রূপের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল। আর সেই সঙ্গে দুষ্টু কাজও কম করেননি তিনি। এক পোশাক কখনো দ্বিতীয়বার পরতেন না। পোশাকের পেছনেই বছরে বিশাল অর্থ? খরচ হতো। বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৪০ লাখ মার্কিন ডলারে! ধারণা করা হয়, শিরাকে নীল রঙে রাঙানোর ফ্যাশনের অনুসারী ছিলেন রানী মেরি। সেই সময় ফ্রান্সের নারীদের কৃশকায় ফ্যাশনে রূপ নিয়েছিল। তারা শিরাগুলোকে নীল রঙের পেন্সিল দিয়ে এঁকে বোঝাতেন। ভাবছেন রানী মানুষ। খরচ করবে, সমস্যা কোথায়? কিন্তু শুধু এইটুকু জেনে রাখেন। দুষ্টু নারী মেরি আঁতোয়ানেই বিলাসিতায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল প্রজারা। আর এতে করেই ‘ফরাসি বিপ্লব’ দেখল বিশ্ব।

রানী জুডিথ
৬৯০ খ্রিস্টাব্দে দামোত নগরের শাসনকর্তা ছিলেন রানী জুডিথ। তিনি সেই সময়ে স্মৃতিসৌধ ও গির্জা ধ্বংস করে। এক্সমনগরী ও তার আশপাশের এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করেন। তিনি রাজবংশের সব সদস্যকে, রানীর বংশধরদের হত্যা করে। তাদের সম্পূর্ণ চিহ্ন মুছে দিতে চেষ্টা করেন। তার ভয়ানক কর্মকাণ্ড লোকমুখে বছরের পর বছর বর্ণিত হয়ে এসেছে। নানা ঐতিহাসিক দলিলেও তার নিষ্ঠুর আক্রমণের কথা উল্লেখ রয়েছে। একটানা ৪০ বছর রাজত্ব করেন। তিনি ইথিওপিয়ার রাজ কোষাগার ডেবরে ডেমো লুটপাট ও রাজার পুরুষ স্বজনদের জন্য তৈরি জেলখানা ধ্বংস করেন। রানী জুডিথের নিষ্ঠুরতায় আমহারিক ভাষায় তাকে ‘এসাতো’ বলে ডাকা হতো। যার অর্থ আগুন।

রানী ক্লিওপেট্রা
সুন্দরী এই নারীকে নিয়ে বড় বড় সাহিত্যিক লিখে চলেছেন নানান উপাখ্যান। লিখেছেন সেক্সপিয়ার, জর্জ বার্নার্ড শ, হেনরি রাইডার, হ্যাগার্ডের মতো বিখ্যাত সাহিত্যিকরা। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত নারী শাসক ক্লিওপেট্রা। জন্ম খ্রিস্টপূর্ব ‘৬৯ সালে প্রাচীন মিসরের আলেকজান্দ্রিয়ায়। রূপ-লাবণ্যে ক্লিওপেট্রা সবাইকে ছাড়িয়ে। তেমনি রণক্ষেত্রেও পুরুষের সমান পারদর্শী। ৪৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের দিকে ফারসালুসের যুদ্ধে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাপতি পম্পে পরাজিত হন। সে বছরই আলেকজান্দ্রিয়ায় ফেরার পথে পম্পে ফারসালুসের হাতে নিহত হন। যুদ্ধ থেকে পালাতে গিয়ে ক্লিওপেট্রার স্বামী টলেমি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর ক্লিওপেট্রা হয়ে ওঠেন মিসরের একচ্ছত্র রানী। জনশ্রুতি আছে, রানী ক্লিওপেট্রা প্রতি রাতে একজন পুরুষকে রাত কাটানোর জন্য বেছে নিতেন। আর পরদিনই ওই পুরুষকে জীবন দিতে হতো।

ডা. সাবরিনা আরিফ
ইতিহাসের রথী-মহারথীদের পাশে ডা. সাবরিনা আরিফের নাম দেখে চমকে উঠছেন কি? অভিযোগের মাত্রা বিবেচনায় এই নারী কিন্তু কম দুষ্টু নয়। ৩ থেকে ৫ হাজার মানুষের কোনো রকম পরীক্ষা ছাড়াই করোনা রিপোর্ট দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার পরও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিল উঠানোর চেষ্টা করেন তিনি। জানা যায়, সাবরিনার ৩ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। সেই সাথে সাবরিনার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির সাত ধারায় মামলা হয়েছে। ধারাগুলো হলো ১৭০, ২৬৯, ৪২০, ৪০৬, ৪৭১, ৪৮৬ ও ৩৪ ধারা। সংবিধান ও আইন বিশেষজ্ঞরা জানান, ১৭০ ধারায় সরকারি কর্মকর্তার অপরাধে ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড। ২৬৯ ধারায় জনস্বাস্থ্য বিষয়কে কেন্দ্র করে জীবন নাশসহ বিরূপ হস্তক্ষেপ করলে ৬ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড। ৪২০ ধারায় প্রতারণা করায় ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড।
 

আরও পড়ুন