নিরাপত্তায় রাজধানীতে বিজিবির টহল

জাগরণ প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৩, ১২:১৬ এএম নিরাপত্তায় রাজধানীতে বিজিবির টহল
ছবি ● সংগৃহীত

শনিবার সংঘর্ষ ও রোববারের হরতালের জেরে রাত থেকেই রাজধানীতে টহল দিতে শুরু করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১১টি প্লাটুনের সদস্যরা।

রমনায় ১ প্লাটুন, মতিঝিলে ২ প্লাটুন, পল্টনে ২ প্লাটুন, বিচারপতির ভবনের সামনে ৪ প্লাটুন, সচিবালয়ের সামনে ২ প্লাটুনসহ মোট ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

 

শনিবার রাতে পল্টন, মতিঝিল ও রমনা এলাকায় টহল দিতে দেখা যায় ১১টি প্লাটুনের সদস্যদের রোববার হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল। জামায়াতে ইসলামীও হরতালের ডাক দিয়েছে। 

 

এর আগে শনিবার পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজধানীর কাকরাইল ও পল্টন এলাকা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এতে বিএনপির কর্মী ও পুলিশের অনেক সদস্য আহত হয়েছেন।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি কর্মীরা আওয়ামী লীগের কয়েকটি বাস ও পিকআপভ্যানে ভাঙচুরে করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিএনপি কর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজনা তৈরি হয়। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ চলার পর একপর্যায়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে চাইলে বিএনপি নেতা–কর্মীরা ইটপাটকেল ছোঁড়ে।

সংঘর্ষ কাকরাইল মসজিদ থেকে পল্টন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় কাকরাইল পুলিশ বক্স ও গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়া ভাঙচুর করা হয় কাকরাইল আওয়ামী লীগের কার্যালয়।

এর আগে একই জায়গায় সকালে ২টি বাস ও কয়েকটি পিকআপে লাঠিসোঁটা নিয়ে ভাঙচুর করে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে আসা কর্মীরা। এর আগে মৎস্য ভবন এলাকায়ও একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসব গাড়ি রমনা থেকে কাকরাইল মোড় হয়ে বায়তুল মোকাররমের দিকে যাচ্ছিল। এতে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের পোস্টার লাগানো হচ্ছিল। তবে গাড়ি ও পিকআপ কয়েকটিতে ভাঙচুর করে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

সকাল থেকেই শাপলা চত্বরের প্রতিটি রাস্তা বেরিকেড দিয়ে রাখে পুলিশ। কিন্তু বেলা ১২টার দিকে আরামবাগ থেকে বেরিকেড ভেঙে সামনের দিকে এগোতে থাকে জামায়াত নেতা–কর্মীরা। তবে শাপলা চত্বরের কাছাকাছি তাদের আটকে দেয় পুলিশ।

এরপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছে তারা। এদিকে আরামবাগে পুলিশের গুলিতে নওয়াব আলী শেখ নামে এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেছে জামায়াত। তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

জাগরণ/আইনশৃঙ্খলাবাহিনী/এসএসকে