জেনারেটরের তেল কিনতে ওসির অনুমতি লাগবে

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৩, ১২:২৮ এএম জেনারেটরের তেল কিনতে ওসির অনুমতি লাগবে

বিভিন্ন তেলের পাম্প থেকে খোলা ডিজেল, পেট্রল ও অকটেন বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। তবে বাড়ি, ফ্যাক্টরি ও প্রতিষ্ঠানে জেনারেটর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি কিনতে হলে সংশ্লিষ্ট থানার ওসির অনুমতি বা নিরাপত্তা ছাড়পত্র নিতে হবে। 

নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে তেল বিক্রি করার পর সেটি পেট্রল ও সিএনজি স্টেশনে রক্ষিত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

পুলিশ বলছে, অবরোধ ও হরতালের নামে বিশেষ একটি মহল গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, পেট্রল বোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে নিরীহ নাগরিকদের হতাহত করা ছাড়াও নাশকতা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। এ অবস্থায় চলমান নাশকতার সহজ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে কেউ যেন পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অগ্নিসংযোগ করতে না পারে এবং পেট্রল পাম্প থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে কোনও ধরনের নাশকতা করতে না পারে সেজন্যে খোলা তেল বিক্রির ক্ষেত্রে পুলিশের ছাড়পত্রসহ ১০টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। 

শনিবার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ সকল ধরনের নাশকতা রোধকল্পে পুলিশী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।

সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে অবস্থিত পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনসমূহ সরেজমিনে পরিদর্শন করে সার্বিক নিরাপত্তা তদারকি করবেন এবং কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।

প্রত্যেক অপরাধ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন সমূহের মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে নিজ নিজ পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়, প্রত্যেক পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন এলাকায় রাত্রিকালীন ছবি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ও

আনা এবং ডিভিআর নিরাপদ স্থানে স্থাপন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট থানার ডিউটি অফিসার, ইন্সপেক্টর (তদন্ত বা অপারেশনস্), অফিসার ইনচার্জ, ফায়ার সার্ভিস ও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন নম্বর দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপন সরঞ্জাম রাখতে হবে। মহড়া করে এসব সরঞ্জামাদির কার্যকারিতা যাচাই করতে হবে।

রিজার্ভারে তেল লোডের সময় নিজস্ব জনবল দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং ওই সময়ে সকল ধরনের যানবাহন পেট্রল পাম্পে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। পেট্রোলিয়াম বিধিমালা ২০১৮-এর লাইসেন্সের শর্তাবলী যথাযথভাবে প্রতিপালন করার পাশাপাশি যেকোনও প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানাকে জানাতে হবে।

জাগরণ/রাজধানী/আইনশৃঙ্খলা/এসএসকে