শত্রুতার জেরে শিশু নির্যাতন

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯, ০৩:৫২ পিএম শত্রুতার জেরে শিশু নির্যাতন

  
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কক্সবাজার শহরের ফদনার ডেইল এলাকায় সাদিয়া সুলতানা নুরী (৯) নামের এক শিশুর উপর পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নুরী একই এলাকার ইলিয়াছের মেয়ে ও কক্সন মাল্টিমিডিয়া স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী।

শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাজুর সহযোগী মাছন বৈদ্যর বাড়িতে নিয়ে ওই নির্যাতন চালানো হয়। মাছন বৈদ্য কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ফদনার ডেইল গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।

নূরী জানায়, প্রতিবেশী রহমানের বিয়ে বাড়ি থেকে আসার পথে সাজু আমার হাত ধরে মাছন বৈদ্যর বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা দুজনসহ সাজুর স্বামী রফিক আমার মুখ বেঁধে প্লাস্টিকের স্ট্রিং দিয়ে মারধর ও চামচ দিয়ে আগুনের ছ্যাকা দেয়। এক পর্যায়ে আবারো চামচ গরম করতে গেলে মাছন বৈদ্যর স্ত্রী আমাকে পালিয়ে আসতে সাহায্যে করে। তখন আমি দৌড়ে রাস্তায় এসে চিৎকার শুরু করি। আমার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসে।

উদ্ধারকারী আরজু নামের এক কলেজ ছাত্র জানায়, শিশুর চিৎকার শুনে আমরা বায়তুর মামুন জামে মসজিদের সামনে নুরীকে পড়ে থাকতে দেখি। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে তার বাড়িতে ও পরে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।

স্থানীয়রা জানায়, মাদক চোরাচালান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন কক্সবাজার শহরের ফদনার ডেইল গ্রামে মো. ইলিয়াছের স্ত্রী রোজিনা বেগমের সঙ্গে একই এলাকার রফিকের স্ত্রী সাজেদা বেগম সাজুর বিরোধ চলে আসছিল।  এরই ধারাবাহিকতায় উভয়পক্ষ গত ১০ দিনে কক্সবাজার সদর থানার হামলার অভিযোগ এনে প্লাটাপ্লাটি মামলা করেছে। একটি মামলা রোজিনার গ্রেফতার হয়ে জামিনে বের হয়েছে। জামিনে বের হয়ে তিনিও একটি মামলা করায় প্রতিপক্ষের লোকজন তার শিশুর উপর নির্যাতন চালিয়েছে।

আহতের মা রোজিনা আক্তার বলেন, আমার দায়ের করা মামলার আসামী সাজেদা বেগম ও তার সহযোগীরা মেয়ে সাদিয়া সুলতানা নুরীকে বেঁধে রেখে মারধর করেছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শণকারী এসআই রাজিব পোদ্দার বলেন, নুরীকে অমানবিক ও পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। মাছন বেদ্য, আবছারসহ কয়েকজন নুরীর উপর নির্যাতন চালিয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।

অভিযুক্ত মাছন বৈদ্য বলেন, রোজিনা ইয়াবা কারবারি। ইয়াবা কারবারে বাধা দেয়াটাই আমাদের অপরাধ।  সেই কারণে সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রোজিনা বাদি হয়ে আমাদের নামে একটি মিথ্যা মামলার করে। সেই থেকে আমরা এলাকাছাড়া। শুক্রবার রাতের ঘটনার সময় আমরা খাদ্য গুদাম এলাকায় ছিলাম যা এলাকা থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দুরে। সেখানে থেকেই জানতে পারি রোজিনা তার ছোট মেয়েকে মারধর করেছে। আমাদের ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে এমন জঘন্য কাজ করেছে রোজিনা।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন, শিশুটিকে আমি দেখেছি। তার উপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে।

টিটি/ এসসি