পদ্মার ভাঙনের কবলে মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনটঘাট

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ২৮, ২০১৯, ০৮:৪৬ এএম পদ্মার ভাঙনের কবলে মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনটঘাট

ঢাকার দোহারের পদ্মা নদীর তীরবর্তী মৈনটঘাটে অবস্থিত মিনি কক্সবাজার এলাকাটি চলমান মৌসুমে প্রবল ভাঙনের মুখে পড়েছে। এই পর্যটন এলাকাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক, শ্রমিকসহ সড়ক ও নৌযানের সঙ্গে জড়িত লোকজন ও এলাকাবাসী ভাঙন আতঙ্কে এখন রাত দিন পার করছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, মৈনটঘাট এলাকার তীর সংরক্ষণ ও ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা না করলে অচিরেই পদ্মা নদীতে হারিয়ে যাবে  মিনি কক্সবাজার খ্যাত এই পর্যটন এলাকাটি। ফলে বেকার হয়ে পড়বেন কয়েক হাজার ব্যবসায়ী ও শ্রমিক। বৃদ্ধি পাবে ভূমিহীন মানুষের সংখ্যা।

মৈনটঘাটের ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রতি বছর এ ঘাট থেকে কোটি টাকার উপরে রাজস্ব আয় হয়, কিন্তু ভাঙন রক্ষায় দ্রুত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না কেন, আমাদের বুঝতে পারছি না।

সরেজমিনে এলাকাবাসী জানান, মৈনটঘাটের ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা করা না হলে সরকার প্রতি বছর কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে। এ ছাড়া মিনি কক্সবাজার সংলগ্ন নারায়ণপুর, চরকুসুমহাটি গ্রামসহ আরো ৫ গ্রাম পদ্মার গর্ভে চলে যাবে। 

বিগত সময়ে পদ্মার ভাঙনে তাদের ফসলি জমি, ঘরবাড়ি পদ্মার গর্ভে চলে গেছে। কোনোমতে এলাকায় ব্যবসা করে পরিবার-পরিজন নিয়ে টিকে আছেন তারা। চলমান মৌসুমে পদ্মায় স্রোতের বেগ বাড়ার ফলে নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে। কখন যে তাদের দোকান নদীতে চলে যায় তা নিয়ে চিন্তিত। ইতোমধ্যে কয়েকটি দোকান ও স্থাপনা নদীতে পতিত হয়েছে।

মৈনটঘাটের এক ব্যবসায়ী বলেন, এক সময় আমার প্রচুর জমি ছিল এই পদ্মা কেড়ে নিয়েছে। এখানে মৈনটঘাটে ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে বিভিন্ন ধরনের খাবার বিক্রি করি। সরকারে কাছে আমার দাবি, এলাকাটিকে পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষা করা হোক।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন মুন্সী বলেন, আমি উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। মৈনটঘাট এলাকাটিকে রক্ষা করতে সরকারের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা করা।

দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবা বলেন, মৈনটঘাটের ভাঙনের বিষয়টি আমি শুনেছি ও পরিদর্শন করে  পানিসম্পদ মন্ত্রী মহাদয়ের দপ্তরে লিখিতভাবে জানিয়েছি।

কেএসটি