ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে মাস যাবৎ ধর্ষণ

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২০, ২০১৯, ০৮:০৯ পিএম ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে মাস যাবৎ ধর্ষণ

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করার ঘটনা ঘটেছে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ ও তার ছেলেকে হত্যার ভয় দেখিয়ে দীর্ঘ এক মাস ধরে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে দুই বন্ধু।

এ ঘটনায় গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে দুই বন্ধুকে আসামি করে বালিয়াডাঙ্গী থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) জেলহাজতে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত সাদ্দাম হোসেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের দক্ষিণ মেরধাপাড়া গ্রামের তারাব উদ্দীনের ছেলে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রত্নাই মাহাতবস্তি গ্রামের নুসরাত আলীর স্ত্রী গত ৭ মে বাড়ির পাশে ভুট্টা ক্ষেতের আইলে ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে যান। ওই সময় সাদ্দাম হোসেন ও দুলাল নামের দুই বন্ধু অকস্মাৎ ওই গৃহবধূকে পেছন দিক থেকে জাপটে ধরে এবং ধারালো ছুরির মুখে জিম্মি করে জনৈক দর্শন আলীর ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। শুধু তা-ই নয়, ধর্ষণের ভিডিও নিজেদের মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে।

পরে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে দুই বন্ধু বিভিন্ন সময়ে দীর্ঘ এক মাস ধরে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে আসছিল। আসামিদের হুমকি এবং লোকলজ্জার ভয়ে তিনি এ ধরনের অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করে আসছিলেন।

এক মাসের মাথায় দুই বন্ধুর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গৃহবধূ তাদের প্রস্তাবে সাড়া না দিলে ধর্ষণের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করে তারা। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার (১৮ জুন) বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ এক বন্ধু সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

ধর্ষিত গৃহবধূ বলেন, ‘বিষয়টি জানাজানি হলে সংসার ভেঙে যাবে এবং আমার একমাত্র ছেলের ক্ষতি হতে পারে ভেবে মুখ বুজে অত্যাচার সহ্য করছিলাম। কিন্তু ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে আমার স্বামী আমার পাশে এসে দাঁড়ায়।’

তবে গ্রাম্য মাতব্বরদের বিরুদ্ধে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মোসাব্বেরুল হক জানান, ধর্ষক সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঠাকুরগাঁও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এনআই